নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়িয়ার ডক্টরস ক্লিনিকের মালিকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মঙ্গলবার আদালতে পাল্টা মামলা করেছেন এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সেই নাসির উদ্দিন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন, ডক্টরস ক্লিনিকের মালিক ডা. জামিউল হাসান সেতু, তার স্ত্রী ডা. সোনিয়া শারমিন ও বোন ফাতেমাতুল বহ্নী, নারিকেলবাড়িয়ার সাবিয়া আক্তার মুন্নী ও রিয়াদ হাসান। এরআগে এই নাসির সহ পাঁচ সাংবাদিক পরিচয়ধারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই ক্লিনিক মালিক সেতু। সেটিও তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিআইডি।
নাসির উদ্দিন মামলায় উল্লেখ করেন, আসামিরা সকলেই ডক্টরস ক্লিনিকের মালিক। যশোরের সিভিল সার্জনের একটি টিম ওই ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়। নাসির উদ্দিন সিলগালার এই ফুটেজ ও সিভিল সার্জনের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রচার করায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরমাঝে গত ১২ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে নাসির উদ্দিন ও তার ৪ সঙ্গীকে ডক্টরস ক্লিনিকে দেখতে পেয়ে ক্লিনিকে সিলগালার জন্য নাসির উদ্দিনকে দায়ী করে আসামিরা তাদের মারধর করেন। ক্ষতিপূরণ হিসেবে নাসিরের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এরই মধ্যে নাসির উদ্দিনের সঙ্গী ইয়াছিনের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ক্যামেরা কেড়ে নেয়া হয় বলে মামলায় দাবি করেন নাসির।
উল্লেখ্য, এরআগে গত ১৩ এপ্রিল এই সাংবাদিক পরিচয়ধারী নাসির উদ্দিন ওরফে নাসিম রেজা ও তার চার সহযোগী ইয়াসিন, আক্তারুজ্জামান মিম, ইমাম আলী ওরফে বিপ্লব ও শাওনের বিরুদ্ধে আদালতে একলাখ টাকা চাঁদাদাবি ও পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন জামিউল হাসান সেতু। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এই পাঁচজন নিজেদেরকে প্রেসক্লাব যশোরের সদস্য পরিচয় দিয়ে চাঁদাদাবি করে। পরে খোঁজনিয়ে জানতে পারেন তারা কেউই প্রেসক্লাবের সদস্য না। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে হুমকি দিয়েছিলো ওই পাঁচ সাংবাদিক পরিচয়ধারী।