নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রেসক্লাব যশোরে (দ্বিতীয় তলায়) জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র ‘চিন্তাপ্রকাশ’র উদ্যোগে লেখক ও গবেষক মফিজুর রহমান রুন্নু’র (সভাপতি, চিন্তাপ্রকাশ) সম্প্রতি প্রকাশিত গ্রন্থ “বাঙালির ধর্ম, সংস্কৃতি ও জাতীয়তার সংকট” এর ওপর আলোচনা অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক আমজাদ হোসেন, এমএম কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শামীমা আখতার, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এম. আমানুল্লাহ্।
সভাপতিত্ব করেন ‘গ্রন্থ-আলোচনা’ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম।
প্রথমে মফিজুর রহমান রুন্নু (সভাপতি, চিন্তা প্রকাশ) সূচনা বক্তব্যে আজকের আলোচ্য গ্রন্থ “বাঙালির ধর্ম, সংস্কৃতি ও জাতীয়তার সংকট” এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এবং সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রধান আলোচক আমজাদ হোসেন বলেন, লেখক বিশাল প্রেক্ষাপট কে এই গ্রন্থে সংক্ষিপ্ত পরিসরে উপস্থাপন করেছে। যা বোদ্ধা পাঠকদের জন্য বিশেষ সহায়ক। বাঙালি একটি শংকর জাতি। জাতীয়তাবাদ সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় বহন করে। জাতীয়তাবাদ আমাদের কোন সমাধান দিতে পারে না। আমাদের সমস্যা নিরসনে জাতীয় চেতনার দরকার। ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলা হয় কিন্তু কোন দেশেই ধর্মনিরপেক্ষতা পালন করে না। এটা অনেক দূরের বিষয়। আর আমাদের বিভিন্ন জনের কালচার বিভিন্ন রকম। শাসক শ্রেণির কালচার হচ্ছে ডমিনেট করা।
প্রফেসর শামীমা আক্তার বলেন, শাসক শ্রেণি জানে ধর্মকে ব্যবহার করা গেলেই ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করা যাবে। অধ্যক্ষ ড. এম আমানুল্লাহ বলেন, উগ্র ব্রাহ্মণ্যবাদ ও শাসক শ্রেণি প্রাকৃতিক ধর্মকে বিভাজিত করেছে। ফলে তৈরি হয় জাতীয়তার সংকট।
অনুষ্ঠানের সভাপতি অ্যাড. আজিজুল ইসলাম বলেন, মুক্তচিন্তার পরিবেশ বাংলাদেশে হওয়া উচিত। অবকাঠামোর উন্নয়ন দিয়ে কিছু হবে না। আমাদের চিন্তার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আলোচনাগুলো ধারণ করেছে বর্তমান সময়ে দ্বিধা বিভক্ত নানা প্রশ্নকে।
প্রভাস আকাশ মল্লিক (তথ্য ও প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক, চিন্তা প্রকাশ) ও হিয়া ত্রিবেণী মল্লিক এর দক্ষ সঞ্চালনায় গ্রন্থ আলোচনা অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত ও তাৎপর্যময় হয়ে ওঠে।
তরুণ ও প্রবীনদের সম্মিলনে প্রকৃতি ও মানুষ বিষয়ক জ্ঞান চর্চা কেন্দ্র “চিন্তা প্রকাশ” একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক মুক্তচিন্তার ক্ষেত্র। ইত:মধ্যে সংগঠনটি সচেতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । চিন্তা প্রকাশে স্বাধীনতার মধ্য দিয়েই মফিজুর রহমান রুন্নু মানুষের অন্তর্নিহিত আলোকে উজ্জীবিত করতে চান। মানুষ আলোকিত হলে সমাজ আলোকিত হবে, সমাজ আলোকিত হলে রাষ্ট্র আলোকিত হবে।