আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। বাঙালি রেনেসাঁর শ্রেষ্ঠ কবি মুধুুসূদন দত্ত। তারই ফলে বাঙালি সংস্কৃতিতে স্বদেশ প্রেম ও জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটেছে। বিশ্ব সাহিত্যে বাংলা ভাষার যোগাযোগ ঘটিয়েছেন তিনি। তাঁর সাহিত্যে বাঙালি জাতীয়তাবোধকে জাগ্রত করেছেন।
মহাকবির জন্মজয়ন্তি উপলক্ষে কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে মঙ্গলবার মধুমেলার উদ্বোধন উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহামারি করোনার কারণে এ বছর সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় জন্মবার্ষিকী পালন।
মধুকবির জীবনীসহ তাঁর সাহিত্যের ওপর ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন সভাপতিত্ব করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, মধুসূদন গবেষক কবি খসরু পারভেজ, যশোর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার দাস, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, প্রভাষক কানাই লাল ভট্টাচার্য্য, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান প্রমুখ।
আলোচনা সভার পূর্বে মধুপল্লীতে মাইকেল মধুসূধন দত্তের আবক্ষ ভাস্কার্যে শ্রদ্ধাজ্ঞলি জ্ঞাপন করেন জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, কেশবপুর প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কবির জন্মজয়ন্তী ও মধুমেলা উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মধুমেলায় উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন মহাকবির জীবনীর ওপর আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি সার্কাস, ইঞ্জিন ট্রেন, মৃত্যুকুপ ও বিসিকের স্টল, কবির সৃষ্টি, সাহিত্য ও জীবনীর ওপর বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করতেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কবি সাহিত্যিকগণ। লাখো মানুষের সমাগম ঘটে প্রতিবছর এ মেলায়। কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের কারনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কবির জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে।
মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন জানান, ৭ দিনের মধুমেলার যে আয়োজন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছিল এবার জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও মধুসূদনের জন্মবার্ষিকী পালন কমিটি স্থগিত করেছে। ২৫ জানুয়ারি কবির জন্মদিন উপলক্ষে উদ্বোধনের মাধ্যমে একদিনেই অনুষ্ঠান শেষ করা হয়েছে।