এএস সাগর ও প্রবীর দাস: যশোরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য নিত্য পণ্যের দাম প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও দাম বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে শীতকালীনসহ বারোমাসি সবজির। সব ধরণের মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। ফুলকপিরও দাম কমেনি বরং বেড়েছে। লাউ ও বেগুনের দামও বেশ চড়া। বাজার ঘুরে দর যাচাই করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
শহরের কয়েকটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশি টেংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ বিক্রি হচ্ছে। শিং প্রতি কেজি ১০০০ টাকা, শোল ৬০০ টাকা, দেশি কৈ ৭০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ টাকা, সরপুটি ৪০০ টাকা কেজি, বাইন প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, কাতলা ২২০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা ও ইলিশ ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা।
পেয়াজ ও আলুর দাম একই থাকলেও কাঁচা মরিচের দাম সামান্য বেড়েছে। লাল আলু প্রতি কেজি ১৫ টাকা, সাদা আলু ১০ টাকা, পেয়াজ ৩০ টাকা, রসুন ৫০ টাকা, আদা ৬০ টাকা, শুকনা মরিচ ২৮০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বিট কপি কেজি ৪০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লাল ও পালং শাকের আটি ২০ টাকা। কেজি প্রতি সিম ৪০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা, শসা ৬০ টাকা, গাজর ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পিঁয়াজ কলি ২০টাকা, পেঁপে ২০, বেগুন ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, মটরশুটি ৫০ টাকা, পাতাকপি প্রতি পিস ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তরকারি ব্যবসায়ী ফজলুল বলেন, কম দামে সবজি খাওয়ার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে সবজির দাম কমার সম্ভাবনা কম। এখন দিন যত যাবে সবজির দাম বাড়বে।
সবজি ক্রেতা ফাতেমা বেগম বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। চাল, তেল, চিনির দাম শুনলে মাথা গরম হয়ে যায়। মাসের পর মাস অস্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের পণ্য। কিন্তু দাম কমানোর কোনো পদক্ষেপ কেউ নিচ্ছে না। দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে দাম। তিনি আরও বলেন, জিনিসপত্রের যে দাম তাতে স্বল্পআয়ের মানুষ অনেক কষ্টে আছে। আমাদের কষ্ট দেখে না কেউ। এই শীতের মধ্যেও বাজারে সবধরনের সবজির দাম অস্বাভাবিক। বাজারে একশো টাকা নিয়ে গেলে দুই-তিনটির বেশি সবজি কেনা যায় না।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়লেও খোলা তেলের দাম গত সপ্তাহের মতো একই রকম রয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬০ টাকা, অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৫৮ থেকে ১৫৯ টাকা, পাম তেল ১৪৩ থেকে ১৪৫ টাকা, সুপার তেল ১৪৮ থেকে ১৪৯ টাকা, সরিষার তেল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।
অন্যান্য ডালের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও লাগামহীন হয়ে পড়েছে মসুর ডালের দাম। প্রতি কেজি দেশি মুসুর ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকা, মোটা মুসুর ডাল ১০০ টাকা, মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ছোলার ডাল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৫০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি ইরানী জিরা ৪৬০, ইন্ডি জিরা ৪০০ টাকা , খোলা আটা ৩৪ টাকা ও প্যকেট আটা ৪০ টাকা।
চালের বাজার ঘুরেদেখা যায় চাল কেজিতে ২ থেকে ১ টাকা কমেছে। বাসমতি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা, মনিকেট ৫৮ থেকে ৫৯ টাকা, কাজল লতা ৫০ থেকে ৫২ টাকা, আটাশ ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা ও স্বর্ণা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকা।