নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে পূর্বশত্রুতার জেরে চঞ্চল গাজী (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নিহত চঞ্চলের বাবা মধু গাজীসহ (৫২) ওই পরিবারের তিন সদস্যকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, সম্প্রতি ডাকাতিয়া গ্রামের মধু গাজীর ছেলে চঞ্চল মাহমুদের একটি ইজিবাইক চুরি হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চঞ্চল এলাকার রবিউল ইসলাম গংকে সন্দেহ করে লোক মাধ্যমে ইজিবাইকটি ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রবিউলগং। সেই ঘটনার জের ধরে চঞ্চল গাজী ও তার বাবা মধু গাজীর সঙ্গে প্রতিবেশী রবিউল ইসলাম (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৪০), মো. মাহিম (২৫) ও মো. সাদ্দাম (৪৫)-এর কথা কাটাকাটি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে মধু গাজীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রথমে ছেলে চঞ্চলকে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করে রবিউলগং। চঞ্চল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাধা দিতে আসলে তার বাবা মধু গাজী, মা হাসিনা বেগম ও ছোট ভাই তুহিনকেও হত্যার উদ্দেশ্যে কোপানো শুরু করেন তারা। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারীরা সটকে পড়েন। পরে গুরুতর অবস্থায় চঞ্চল মাহমুদ, তার বাবা মধু গাজী, ছোট ভাই তুহিন ও মা হাসিনা বেগমকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চঞ্চল গাজীকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর জখম তার বারা মধু গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রবিউল ইসলাম, তার সহযোগী মুন্না ও বিল্লাকে আটক করেছে পুলিশ।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত চঞ্চল গাজীর লাশ মর্গে রয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে আটকের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
