কল্যাণ ডেস্ক: ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক এক সদস্যকে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরো করেছে তার ছেলে ও স্ত্রী। পরীক্ষার ফি দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা ও ছেলের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। উজ্জ্বল চক্রবর্তী নামের ওই বাবার কাছে ছেলে জয় চক্রবর্তী পরীক্ষার ফ্রির জন্য তিন হাজার টাকা চেয়েছিল।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, কথাকাটাকাটির সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন উজ্জ্বল চক্রবর্তী, সেই অবস্থায় ছেলেকে চড় মারেন। পাল্টা বাবাকে ধাক্কা দেয় ছেলে জয় চক্রবর্তী। পরে বাবার গলাটিপে ধরেন ছেলে।
এক পর্যায়ে উজ্জ্বল চক্রবর্তী মারা যান। তা বুঝতে পেরে মা ও ছেলে হতভম্ব হয়ে পড়েন। এরপর বাবার মরদেহ লুকাতে পরিকল্পনা করেন ছেলে জয় চক্রবর্তী। কাঠ কাটার করাত দিয়ে উজ্জ্বল চক্রবর্তীর দেহকে
করা হয় ছয় টুকরো। তারপরে বস্তাবন্দি করে উজ্জ্বল চক্রবর্তী দেহের বিভিন্ন অংশকে কয়েক জায়গায় ফেলে আসা হয়।
গত ১৫ নভেম্বর এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের বারুইপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। বারুইপুর থানার পুলিশের সন্দেহ হয় ছেলে জয় চক্রবর্তী ও মা শ্যামলী চক্রবর্তীকে। তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়েন মৃত উজ্জ্বল চক্রবর্তীর পুত্র জয় চক্রবর্তী ও তার মা শ্যামলী চক্রবর্তী।
পারিবারিক অশান্তির জেরে খুন ও তীব্র প্রতিহিংসার দিকটি উঠে এসেছে তদন্তে।
তবে এই খুনে কোনো তৃতীয় সম্পর্কের দিকটিও পুলিশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেরায় জয় চক্রবর্তী বলেন, তার বাবা উজ্জ্বল চক্রবর্তী নিয়মিত নেশা করতেন। কলেজের ফি চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল।
উজ্জল চক্রবর্তীর ছেলে জয় চক্রবর্তী ও শ্রী শ্যামলী চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করার পর তাদের নিয়ে পুলিশ বাড়ির পাশের জঙ্গলে তল্লাশি করে মরদেহের কিছু অংশ খুঁজে পায়।
এরপরে মরদেহের একাংশ বারুইপুর-মল্লিকপুর রোডের ডিহি এলাকার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের বারুইপুরজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।