ইসলাম হোসেন, বারোবাজার (কালীগঞ্জ)
দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ বারোবাজার থেকে মাঝদিয়া তত্বিপুর সড়কের ব্রিজের বেহাল দশা। এর সাথে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে মাঝদিয়া বাঁওড়ের সংযোগ ব্রিজটি। দুই মাস ধরে ভেঙে পড়া ব্রিজটি আজও সংস্কার করা হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শত শত ছাত্রছাত্রী ও জনসাধারণ। এছাড়া ব্রিজ দিয়ে ছোট মাঝারিসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে অটোভ্যান, মোটরসাইকেল আরোহী ও এলাকাবাসী।
প্রায় ৩০ বছর পূর্বে নির্মিত ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। স্থানীয়রা আরও জানান, সংস্কার না করায় ব্রিজ দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অনেক পথচারী দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
বারোবাজার মাঝদিয়া বাঁওড়ের সংযোগ ব্রিজটির মাঝখানে ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে ওই স্থানে বাঁশ দিয়ে বিপজ্জনক চিহ্ন দিয়ে রাখলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।
উপজেলার মাঝদীয়া, মঙ্গলপৈতা, সুবর্ণসারা, তত্বিপুর, বারপা, লাওখালি, ভোগলপুর নাটোপাড়া, ঝাউদিয়া, কেসমত, লেবুতলা গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গ্রাম ও যশোর এবং মাগুরা জেলার হাজারো মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। সংশ্লিষ্ট অফিস ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও ব্রিজটি সংস্কার করা যায়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঝদিয়া বাঁওড়ের সংযোগ ব্রিজটির ভেঙে যাওয়া স্থানে বাঁশ দিয়ে সতর্কীকরণ চিহ্ন দিয়ে রেখেছে এলাকাবাসী। দেশের সর্ববৃহত সবজি হাট বারোবাজারে গরু ছাগলের হাট ও বড় মাছের আড়তও রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যপারিরা এ হাটে আসেন পণ্য কিনতে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শিপন মৃধা বলেন, ব্রিজটি সংস্কারের উদ্যোগ কেউই নিচ্ছে না, যার ফলে স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতে খুব কষ্ট হয়। বৃহৎ এই অঞ্চলের কয়েকশ’ হেক্টর জমির ফসল এই ব্রিজের উপর দিয়ে আনা নেয়া করা হয়। জরুরি ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ব্রিজের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। ইতোমধ্যে ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প প্রস্তাবটি পাশ হয়ে আসলেই যত দ্রুত সম্ভব সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।