নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরের পূর্ববারান্দী সরদারপাড়ার বিএনপিকর্মী আজিজুর রহমান নেছারকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবিতে পুলিশ হেফাজতে হত্যার অভিযোগে কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি ও এসআইসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নিহত নেছারের স্ত্রী বর্তমানে বেজপাড়ার বাসিন্দা পারভীন লাকী বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন।
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম অভিযোগটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখে দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ।
আসামিরা হলেন, কোতোয়ালি থানার তৎকালিন ওসি ইলিয়াস হোসেন, এসআই অরুন কুমার দাস, কনস্টেবল আবু বক্কার, কনস্টেবল মজিবর রহমান ও কনস্টেবল নজির আহম্মেদ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিএনপিকর্মী আজিজুর রহমান নেছার শহরের পূর্ববারান্দী সরদারপাড়ার জনৈক বকুলদের বাসার নিচতলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই রাত ১১ টার দিকে আজিজুর রহমান নেছারকে সরদারপাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে থানার ওসির নির্দেশে এসআই অরুনসহ অপর কনস্টেবলরা আটক করে। রাস্তায় হট্টোল শুনে নেছারের স্ত্রী এসে দেখেন পুলিশ তার স্বামীকে আটক করেছে। তাকে দ্রুত থানায় আসতে বলে পুলিশ নেছারকে নিয়ে চলে যায়। নেছারের স্ত্রী ও স্বজনরা থানায় গিয়ে দেখেন তাকে হাজত খানায় আটকে রেখেছে। এসআই অরুন এরপর নেছারের স্ত্রীকে ডেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয়। নেছারের স্ত্রী এত টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে থানা থেকে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে নেছারের স্বজনরা রাতে বাড়ি ফিরে আসে। পরদিন সকালে স্থানীদের সংবাদের ভিত্তিতে পূর্ববারান্দীপাড়া লিচুতলা ব্রিজের পশ্চিমপাশের রাস্তার উপর নেছারের মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এ ঘটনায় নিহত নেছারের পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ না করে তাদের তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে পরিবেশ অনুকুলে আশায় তিনি আদালতে এই মামলা করেছেন।