নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা বিএনপির অফিসে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আব্দুল জলিল যশোর সদর উপজেলার কেফায়েতনগর গ্রামের মৃত মোবারক বিশ^াসের ছেলে। গত শুক্রবার ভোর রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতারের পর এদিনই আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
আব্দুল জলিল সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিএনপির জেলা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়। এই ঘটনায় ৮ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য ফোরামের নেতা শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা অ্যাডভোকেট এমএ গফুর বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ ৬৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তিনি মামলায় উল্লেখ করেছেন, গত ৪ আগস্ট সকলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হয় আসামিরা। এরপর তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শহরের লাল দিঘীর পশ্চিমপাড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এসময় অফিসে থাকা দুইটি ল্যাপটপ, আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে। তারা অফিসে পেট্রোল ঢেলে আগুন জালিয়ে দেয় ও বোমা হামলাসহ ৪০ মিনিট তান্ডব চালায়। এসময় অফিস সহকারী মনিরুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই মামলায় গত শুক্রবার ভোর রাতে সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলকে গ্রেফতারের পর এদিনই আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।