ঢাকা অফিস:
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীতে বিএনপির গণ অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রবেশমুখ সাভারের আমিনবাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছে পুলিশ।
সকাল ৭টা বেলা ১১ টা পর্যন্ত চেকপোস্ট থেকে ৯টি হাইয়েস মাইক্রোবাসসহ অন্তত ৯০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
তবে আটককৃতদের বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কেউ যেন রাজধানীতে আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে প্রবেশ করে নাশকতা করতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই পুলিশের এই সতর্কতামূলক অবস্থান।
তবে, এখনই কাউকে আটক বলতে রাজি নয় পুলিশ, তারা বলছেন সন্দেহভাজন হিসাবে যাদের থামানো হচ্ছে, তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।
তাছাড়া, সকাল থেকে চেকপোস্ট থেকে সন্দেহভাজন হিসাবে ঠিক কতজনকে আটক করা হয়েছে সেই সংখ্যাও প্রকাশ করা হয়নি।
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহেল কাফী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’কে বলেন, “যেহেতু রাজধানীতে একটি বড় রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি রয়েছে, সেকারণেই যেন কেউ রাজধানীতে প্রবেশ করে নাশকতা করতে না পারে, তার সতর্কতামূলক কার্যক্রম হিসেবে আমাদের এই চেকপোস্ট তল্লাশি চলছে।”
তবে, এখনই কাউকে আটক বলতে রাজি নয় পুলিশ, তারা বলছেন সন্দেহভাজন হিসাবে যাদের থামানো হচ্ছে, তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। চেকপোস্টে গণপরিবহনের তুলনায় ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার ও হাইয়েস মাইক্রোবাস থামিয়ে তল্লাশি করার ক্ষেত্রেই পুলিশের তৎপরতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
“এখনই কাউকে আটক করা হয়েছে বলা যাবে না। সন্দেহভাজন হিসাবে চেকপোস্টে যাদের থামানো হয়েছে তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই-বাছাই শেষে কাউকে আটক করা হবে কিনা সেটি বলা যাবে,” তিনি যোগ করেন।
সন্দেহভাজন হিসাবে যাদের থামিয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে তাদের সংখ্যাটা কেমন এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “সুনির্দিষ্ট করে এখনই বলা যাচ্ছে না।”
তবে পুলিশের একটি সুত্র বলছে, সকালে আমিনবাজার চেকপোস্ট থেকে সন্দেহভাজন হিসাবে আটকের এই সংখ্যাটা ৮০ থেকে ৯০ জনের কম নয়, আর যাদের আটক রাখা হয়েছে তাদের অধিকাংশই রাজধানীতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।
আটক করা ৯টি মাইক্রোবাস মানিকগঞ্জ, ধামরাই ও সাভার থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য যাচ্ছিলো। একেকটি মাইক্রোবাসে ১০ থেকে ১৩ জন পর্যন্ত যাত্রী ছিলো বলে জানা গেছে।
তাছাড়া, চেকপোস্টে গণপরিবহনের তুলনায় ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার ও হাইয়েস মাইক্রোবাস থামিয়ে তল্লাশি করার ক্ষেত্রেই পুলিশের তৎপরতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
আরও পড়ুন: আজ খুলনায় বিএনপির গণঅনশন যশোর থেকে অংশ নেবেন ১৫ হাজার নেতাকর্মী