ঢাকা অফিস
বিএনপির পথযাত্রাকে পতন যাত্রা ও পরাজয় যাত্রা আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির পতন যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি বিএনপিকে ঘোড়ার ডিম দিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা’র প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে খোলা ট্রাকে শোভাযাত্রাপূর্বক এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। সংসদ বিলুপ্ত হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করার প্রশ্নই উঠে না। তিনি বলেন, অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো শেখ হাসিনা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বলে দিয়েছি। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। নির্বাচনের সময় শান্তি চাই। নির্বাচনপরবর্তী সময় শান্তি চাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কেউ চায় না। বিএনপি চেয়েছিল ২০০১ ও ২০০৬ সালের মতো তাদের নিজেদের মতো করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার করে জিতে আসবে। তাদের সে আশায় গুড়ে বালি। তারা যা চেয়েছে তা কোনদিনও পাবে না। আমরা বিএনপি মার্কা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনকালীন সরকার মানি না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। সে নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। এর বাহিরে আমরা এক চুলও নড়বো না।’
বিএনপিকে সব শয়তানের দলের ঠিকানা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের যত শয়তানের দল আছে সব দলের ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। এখন ৩৬টা দল আছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কয়টা দল থাকে। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই দল ভুয়া, এদের সব কথা ভুয়া, এদের আন্দোলন ভুয়া।
নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা সতর্ক থাকবেন আপনারা ধৈর্য ধরে থাকবেন। বিএনপি বুঝে গেছে আগামী নির্বাচনে তাদের জিতে আসা সম্ভাবনা নেই। ফখরুল সাহেবরা বুঝে গেছে তারা এবারও নির্বাচনে পারবে না। কাউকে কিছু বলবেন না। কেউ কিছু বলতে আসলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। আমাদের ওপর আক্রমণ করতে আসলে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেউ নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আহমদ হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
এর আগে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া ঘোড়াগাড়ি ও পিকআপ ভ্যানে করে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা গেছে অনেককেই। শোভাযাত্রা শুরুর আগেই ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সামনের রাস্তা মৎস ভবন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। বক্তব্য শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শোভাযাত্রার উদ্বোধনী ঘোষণা করেন।
শোভাযাত্রাটি ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে সামনে থেকে শুরু হয়ে শহবাগ, এলিফেন্ট রোড, সাইন্সল্যাবের মোড় দিয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
