# গাজীপুরে নিহত ব্যক্তি লেপ তোশক তৈরির কারিগর
# চট্টগ্রামে সিটি মেয়র ও শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে হামলা
# কুমিল্লায় আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা
# নোয়াখালীতে আ.লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর
# সিলেটে আবারও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিক্ষোভকারীরা
# কুমিল্লা শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৫
কল্যাণ ডেস্ক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বিক্ষোভে উত্তাল সারাদেশ। গতকাল শনিবার তাদের ডাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। কোথাও কোথাও পুলিশ ও ছাত্রলীগের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে। গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে লেপ তোশক তৈরির কারিগর জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় হামলা করেছে শিক্ষার্থীরা। তারা চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর কার্যালয়েও হামলা করেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের বাসায় হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নোয়াখালীত জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শ্রীপুরে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যুবক নিহত : গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার চন্নাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। তিনি চন্নাপাড়া গ্রামের মো. কাজল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে ওই গ্রামের মক্কা-মদিনা স্পিনিং কারখানার সামনে লেপ তোশক তৈরির কাজ করতেন। কাজল মিয়া তাঁর আত্মীয়।
কাজল মিয়া সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বলেন, পুলিশ ও বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে জাহাঙ্গীর আলম দোকানে ছিলেন। বেলা তিনটার দিকে তিনি খবর পান, সড়কে জাহাঙ্গীরের লাশ পড়ে আছে। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে শিক্ষার্থীরা চিকিৎসার জন্য মাওনা চৌরাস্তার দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, ‘গুলিতে নাকি পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে পারিনি।’
এদিকে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সংবাদকর্মীরা নিহত ব্যক্তির ভাড়া বাসার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে মাওনা-শ্রীপুর আঞ্চলিক সড়কে বিক্ষোভকারীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়। এ সময় উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা ছবি তোলার সময় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকে ধাওয়া দেন।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের একজন সমন্বয়ক ইসরাত জাহান দাবি করেন, আজ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, ‘রাস্তায় পড়ে গিয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা ব্যস্ত আছি।’
চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের বাড়িতে হামলার চেষ্টা, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৩ : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের বাসায় হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মেয়রের বাসায় হামলার চেষ্টা করা হয়। হামলাকারীরা মেয়রের বাড়ির মূল ফটক ভাঙার চেষ্টার করেন। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এদিকে নগরের বহদ্দারহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এই সময় পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এ ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সূত্র জানায়, গুলিবিদ্ধ তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁরা রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বহদ্দারহাটের সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, একটি পক্ষ আমাদের সঙ্গে মিশে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। বহদ্দারহাটের সংঘর্ষ ও মেয়রের বাড়িতে হামলার ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো দায় নেবে না।’
চট্টগ্রামে শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় হামলা, সংসদ সদস্যের কার্যালয়ে আগুন : চট্টগ্রাম নগরে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাসায় হামলা হয়েছে। এ সময় বাসার সামনে থাকা দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং এর একটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বাসার ভেতরের আসবাব ভাঙচুর করা হয়েছে। চশমা হিলের ওই বাসভবনে থাকতেন মহিবুলের বাবা সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় চট্টগ্রাম নগরের চশমা হিলে এ ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল থেকে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। হামলার সময় মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বাড়িতে ছিলেন না। তবে পরিবারের সদস্যরা বাসায় ছিলেন। এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজারে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর কার্যালয়েও হামলা হয়। এ সময় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া নগরের নিউমার্কেট, টাইগারপাস, জিইসি মোড়ে পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি টাইগারপাস মোড়ে শেষ হয়েছে। এরপর অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দায় নেবে না।’
কুমিল্লা শিক্ষার্থীদের মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা, গুলিবিদ্ধ ৫ : কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে যান। একপর্যায়ে মিছিল রেসকোর্স এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দেন। এসময় ২০টিরও বেশি গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন আরও ১৫ জন। গুলিবিদ্ধদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক জান্নাতুল ইভা বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ হঠাৎ করে হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকুল্লাহ খোকন বলেন, শিক্ষার্থীদের মিছিলে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি-ছাত্রদল ঢুকে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে। যে কারণে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করিনি।
নোয়াখালীতে আ.লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর : গতকাল বিকালে নোয়াখালীত জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সময় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও তাদের সমর্থকরা জেলা শহর মাইজদী বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। বিক্ষোভ মিছিলে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
একপর্যায়ে আন্দোলনকারী ও তাদের সমর্থকরা বিকেল ৪টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর টাউন হল মোড়ে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে তারা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপর হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে কার্যালয়ে থাকা আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে ভাংচুর চালায়। আ.লীগের একাধিক নেতাকর্মীরা জানায়, হামলার সময় সেখানে কোনো দলীয় নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছিল না। আন্দোনকারীরা চলে গেলে পরে দলীয় কিছু নেতাকর্মী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী বলেন, এ হামলায় কোটা আন্দোলনকারীরা নয়, দুস্কৃতিকারী ও দুর্বৃত্তরা জড়িত ছিল। এরা এখন ছাত্র আন্দোলন নয়, আছে জ্বালানি-পোড়ানি নিয়ে।
জামালপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ : জামালপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষসহ গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে শহরের জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এর আগে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, মাদারগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুরে মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বালিজুড়ি বাজারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
সিলেটে আবারও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিক্ষোভকারীরা : সিলেটে আবারও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। গতকাল বিকেল পাঁচটার পর দফায় দফায় সংঘর্ষে আম্বরখানা থেকে বন্দরবাজার সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। বিক্ষোভকারীরাও পুলিশের দিকে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এসময় পুলিশ সাংবাদিকসহ আহত হন অনেকে।
সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন সড়কে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীরা। এর আগে চৌহাট্টায় শহীদ মিনারের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। এসময় আশেপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নেয়। বিক্ষোভে শিক্ষার্থী ছাড়াও নানান শ্রেণিপেশা ও বয়সের মানুষ অংশ নিয়েছেন। আতংকে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়িরা।
বগুড়ায় দফায় দফায় সংঘর্ষে পুরো শহর রণক্ষেত্র : বগুড়ায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে বেশ কয়েক শিক্ষার্থী আহত হন। শনিবার বিকেল চারটার দিকে শহরের সাতমাথা থেকে মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণকালে এ ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শহরের সাতমাথা, সার্কিট হাউস মোড়, জেলা জজ আদালতের সামনের সড়ক, কালীবাড়ী মোড়সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, সরকার পতনের একদফা দাবিতে বেলা আড়াইটা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাজারো শিক্ষার্থী-জনতা সাতমাথা এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের মিছিল–স্লোগানে সাতমাথা এলাকা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
বেলা তিনটার দিকে সাতমাথা থেকে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় জিলা স্কুলের ফটকের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ মিছিলটি জিলা স্কুল অতিক্রম করার সময় পুলিশকে দেখে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দেওয়া হয়। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, বোতল ও জুতা নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। শিক্ষার্থীরা পাল্টা ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জিলা স্কুলের ভেতরে অবস্থান নেন।