কল্যাণ ডেস্ক
নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ তিন আইনজীবী হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। বিচারকের সঙ্গে অপেশাদারিত্বমূলক আক্রমণাত্মক ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে তারা হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আদালতে ওই তিন আইনজীবীর পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বার কাউন্সিলের সদস্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল।
আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন এবং বিচারকের সঙ্গে অপেশাদারিত্বমূলক, আক্রমণাত্মক ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নীলফামারী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজুল হক, আইনজীবী মো. আজহারুল ইসলাম, আইনজীবী ফেরদৌস আলমকে তলব করে গত ২৫ জানুয়ারি আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর আজ তারা হাজির হন। আদালত আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেছেন।
গত ২৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) গোলাম সারোয়ারের পাঠানো পত্রে জানানো হয়।
গত ২৮ নভেম্বর আদালতে একটি মামলার কয়েক আসামিকে জামিন না দেয়ায় মামলাটিতে নিয়োজিত আইনজীবী মোমতাজুল হক, মো. আজাহারুল ইসলাম, ফেরদৌস আলম ও তাদের সহযোগী আইনজীবীরা অত্যন্ত মারমুখী হয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এজলাসের টেবিল চাপড়িয়ে বিকট শব্দে ওই বিচারকের প্রতি (গোলাম সারোয়ার) বিরূপ মন্তব্য করেন, হুমকি ধামকি দেন এবং হামলার চেষ্টা চালান।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে বাংলাদেশের অবস্থান লজ্জাজনক: ওবায়দুল কাদের