কল্যাণ রিপোর্ট
বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপনে যশোরবাসী মেতেছিল আনন্দ উৎসবে। বিজয়স্তম্ভ চত্বর ছিল লোকে লোকারণ্য। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ঢল নামে। পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ সব দিক থেকে মিছিল নিয়ে একের পর এক আসতে থাকে, সবার গন্তব্য বিজয় স্তম্ভ। এ সময় মিছিলে মিছিলে জয়বাংলা শ্লোগানে মূখরিত ছিল আকাশ-বাতাস। সবাই হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা উজাড় করে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করে রিজয় স্তম্ভে।
বিজয় স্তম্ভের পাদদেশে মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে শপথ নেয়। শপথ নেয় লাখো শহীদের আত্মদানে অর্জিত বাংলাদেশ থেকে মৌলবাদ, জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার ছোবল জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে রুখবে।
বৃহস্পতিবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৫০ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর শহরের বিজয়স্তম্ভে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতাযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।
এদিন সকালে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন,জেলা পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ, সিভিল সার্জন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, ডাক বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, প্রেসক্লাব যশোর, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জেইউজে), শিল্পকলা একাডেমি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, তির্যক, বিবর্তন, উদীচী, সপ্তসুর, সুরবিতান, সুরধুনি, স্বরগম সঙ্গিত একাডেমী, স্পন্দন, শেকড়, মাইকেল সঙ্গীত নিকেতন, আই ই ডি, আইডিইবি, জাসদ, বাসদ, সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, শিক্ষাবোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এম এম কলেজ, সিটি কলেজ, মহিলা কলেজ ও আব্দুর রাজ্জাক কলেজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিজয়স্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন ।
সকাল সাড়ে আটটায় যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। ডিসপ্লে শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।