নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশে অবদান রাখা বিদায়ী জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানকে ‘সুধী সংবর্ধনা’ জানানো হয়েছে। সুধী সমাজ যশোরের পক্ষ থেকে রোববার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে এ সম্মাননা জানানো হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যশোরে এর আগে জেলা প্রশাসক হিসেবে অনেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। দাপ্তরিক দায়িত্বের বাইরে গিয়ে বিদায়ী জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান যশোরের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষার বিকাশে অবদান রেখেছেন। তার কর্মের প্রতি সম্মান না জানালে অবিচার করা হবে। গুণীর কদর না করলে গুণীর জন্ম হবে না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে তাকে সম্মাননা জানানোর আয়োজন, একটি অনন্য উদ্যোগ।
বিকেল পাঁচটায় সুধী সংবর্ধনা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক এসএম তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিদায়ী জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। উত্তরীয় পরিয়ে দেন মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনীর প্রধান আলী হোসেন মনি। বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী (সিআইপি) শ্যামল দাস, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান, বাঁচতে শেখার নির্বাহী পরিচালক ড. আঞ্জেলা গোমেজ, মহিলা পরিষদ যশোর শাখার সাধারণ সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুধী সংবর্ধনা আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম।
সম্মাননাপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘যশোর একটি মায়াময় শহর। মানুষগুলো যেমন আন্তরিক তেমনি শিল্প সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ এই জনপদ। এখানে জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আমি গর্বিত ও গৌরবান্বিত। অনেক কাজ করা হয়েছে যশোরকে ঘিরে। এই যশোরে দায়িত্ব পালনের সময়ে জেলাকে নিজের মতো করে দেখেছি। এ জন্য চেষ্টা করেছি ভালো কিছু উপহার দিতে। কাজ করতে গিয়ে অনেক কাজ শেষ হয়েছে, আবার কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। বিশ্বাস করি, সে কাজগুলোও শেষ হবে। তিনি বলেন, এখানে সকল কাজে চ্যালেঞ্জ ছিলো, সকলের সহযোগিতা কামনা করেছি। সহযোগিতা পেয়েছি। সকলকে নিয়ে কাজ করেছি। দায়িত্বকালে যে অবস্থা পেয়েছিলাম, তার চেয়ে খারাপ রেখে যায়নি। জেলা প্রশাসকের উন্নয়ন কখনো একক না; সকলের সমন্বিত সহযোগিতায় হয়ে থাকে। যশোরের মানুষ আন্তরিক। সেটা জনপ্রতিনিধি বা সাধারণ মানুষ হোক। সবার অকুণ্ঠ সহযোগিতা পেয়েছি। যশোরে জেলা প্রশাসকের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর একান্ত সচিব আবরাউল হাছান মজুমদার। তিনি আজ বা কাল জেলা প্রশাসক পদে দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
