বিনোদন ডেস্ক
জয়া আহসান কাজ নিয়ে যেমন সব সময় আলোচনায় থাকেন, তেমনি তার বয়স আর রোমান্টিক রিলেশনশীপ নিয়েও মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। তাই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এই তারকার কাছে নতুন করে বিয়ে-সংসার নিয়ে চিন্তা ভাবনার কথা জানতে চাওয়া হয়।
জয়া এসব প্রশ্ন একদমই এড়িয়ে যান না। তিনি অকপটে বলেন, ‘নেড়ে বেলতলায় একবারই যায়।’ জয়া আরও বলে থাকেন, ‘বিয়ে নামের প্রাচীন এই ইনস্টিটিউট এখন কতোটা সুচারুরূপে চলছে তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।’ মোট কথা, নতুন করে বিয়ের কথা একদমই ভাবতে চান না দুই বাংলার এই নন্দিত অভিনেত্রী।
তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এক তথ্য। বিয়েতে আস্থা না থাকলেও মা হতে খুব ইচ্ছে করে এই লেডি সুপারস্টারের।
সন্তান গর্ভের না হলেও কি মা হয়ে ওঠা যায়? এই নিয়ে আলোচনা হয় প্রায়ই। বর্তমানে ‘ডিয়ার মা’ ছবির প্রচার নিয়ে ব্যস্ত তিনি। এই ছবিতেও উঠে এসেছে সেই প্রশ্ন। ছবির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই জয়া জানান, বাস্তবে তিনিও মা হতে চান। তবে সন্তানধারণ করে নয়, বরং দত্তক নিয়ে। জয়া বলেন, ‘আমি সন্তান দত্তক নেওয়ায় বিশ্বাসী। আমি নিজে চেষ্টাও করেছিলাম। ইচ্ছে ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে কোনও শিশুকে দত্তক নেব।’
জয়া ও তার বোন (অভিনেত্রী কানা মাসউদ) মিলে সন্তান দত্তক নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এখনও কিছু জটিলতার কারণে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। তার কথায়, ‘আসলে নানা রকমের জটিলতা রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে শিশু দত্তক নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার জন্য নানা রকমের পদ্ধতি রয়েছে।’
দম্পতিদেরও সন্তান দত্তক নেওয়ার পরামর্শ দেন জয়া। তিনি বলেন, ‘যাদের একটি করে সন্তান থাকে, তারা দ্বিতীয় বা তৃতীয় সন্তান হিসাবে বাইরে থেকে দত্তক নিতেই পারেন। তা হলে সেই শিশুগুলি একটি পরিবার পেয়ে যাবে।’
‘ডিয়ার মা’ ছবির ট্রেইলার প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ছবিতেও জয়ার সঙ্গে তার দত্তকসন্তানের রসায়ন তুলে ধরা হয়েছে। অভিনেত্রী জানান, তিনি নিজেও একজন সংবেদনশীল মানুষ এবং সন্তান দত্তক নিতে চান। তাই এই চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে সুবিধা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জয়ার মুক্তিপ্রতিক্ষীত ‘ডিয়ার মা’-এর ট্রেইলার নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ‘পিংক’খ্যাত নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী।
‘ডিয়ার মা’ সিনেমায় জয়া আহসানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন চন্দন রায় সান্যাল। আরও অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায় এবং মালায়ালাম অভিনেত্রী পদ্মপ্রিয়া জনকীরামন।