নিজস্ব প্রতিবেদক
এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ এবং তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে যশোর আদালতে দেয়া অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে থানা পুলিশ। এর আগে ভুক্তভোগী থানায় গেলে মামলা গ্রহণ করেনি পুলিশ। বাধ্য হয়ে তিনি এই ব্যাপারে গত ৬ জুন যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের বিচারক গোলাম কবীরের নির্দেশে ২৭ জুন মামলাটি রেকর্ড করে থানা পুলিশ। আসামি রাসেল যশোর শহরের নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়ার নবীনুর ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহাদৎ হোসেনের ছেলে।
বাদী সদর উপজেলার চাদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ২০২১ সালে কাতার গিয়ে এক বছর চাকরি করে টাকা পয়সা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। আসামি রাসেল তাদের পূর্বপরিচিত এবং সম্পর্কে আত্মীয় হয়। বিদেশ থেকে আসার পরে বাদীর খোঁজখবর নেয় রাসেল। এভাবে কিছুদিন পর রাসেল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বিয়ে না হলেও দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৬ মাস ধরে বাদীকে বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন সময় এবং বিভিন্নস্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে রাসেল। তাছাড়া বিভিন্ন সময় রাসেল তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বারবার রাসেলকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হলেও তিনি রাজি হননি। সর্বশেষ গত ২৪ জুন বিকেল ৫টার দিকে রাসেল ওই নারীর পিতার বাড়িতে যায়। এসময় সেখানেও তাকে ধর্ষণ করে। ওই সময় আশপাশের লোকজনের উপস্থিতিতে রাসেলকে বিয়ের জন্য বলা হলেও তিনি কোন গুরুত্ব দেয়নি। তার কাছে পাওনা দুই লাখ টাকাও দিতে ফেরত দিতে পারবে না বলে জানায় রাসেল। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
