নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রেমের সূত্র ধরে আট বছর আগে বিয়ে হয়। রয়েছে সাত বছরের ছেলে সোহেল তানভীরের জন্ম। কিন্তু এ ঘটনা অস্বীকার করায় ধর্ষণের অভিযোগে সাফায়েত হোসেন নামে একজনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করা হয়েছে। সোমবার যশোর শহরের বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডের মৃত কুদ্দুস মোল্যার মেয়ে শান্তা খাতুন এই মামলাটি করেছেন। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিশেষ পুলিশ সুপার সিআইডি পুলিশ যশোরকে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী নব কুমার কুন্ডু।
আসামিরা হলেন- নড়াইলের নড়াগাতি থানার উত্তর ডুমুরিয়া গ্রামের জালাল মোল্যার ছেলে সাফায়েত হোসেন, মনিরুজ্জামান মনির স্ত্রী সুমা খাতুন ও গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন এলাকার ওসমান গাজীর ছেলে জিকরুল গাজী।
বাদী মামলায় জানিয়েছেন, সাফায়েত হোসেন তার পূর্ব পরিচিত। সে কারণে মোবাইলে কথা বলার এক পর্যায় শান্তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হন সাফায়েত। এরপরে বিয়ের প্রস্তাব দেয় বাদীকে। ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল বাদীকে ডেকে যশোর শহরের পৌরপার্কের পাশে অপিরিচিত একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই তিন আসামিসহ আরো দুইজন অপরিচিত লোক ছিল। সাদা ও নীল কাগজে বাদীকে স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ে হয়ে গেছে বলে জানায়। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তারা শারীরিক সম্পর্ক করে। পাশাপাশি ঢাকার বাড্ডায় একটি বাসা ভাড়া করে বসবাস করাকালে শান্তার গর্ভে ছেলে সোহেল তানভীরের জন্ম হয়। ২০২২ সালের সাব্বির হোসেন নামে আরো একটি ছেলের জন্ম হলেও ২০২৩ সালে সে মারা যায়। সম্প্রতি আবারও শান্তা গর্ভবতী হয়েছেন। গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে সাফায়েত নিখোঁজ হয়ে যায়। তার স্বামী সাফায়েত হোসেন তাকে ভরণ-পোষণ কিছুই দেয়না। ফলে বাধ্য হয়ে শান্তা খাতুন যশোর শহরের বেজপাড়া পিতার বাড়িতে চলে আসেন। তবে আসার সময় শান্তার ছেলে সোহেল তানভীরকে জোরপূর্বক রেখে দেয় তার স্বামী সাফায়েত। অনেক খোঁজাখুজির একপর্যায়ে শান্তা খাতুন জানতে পারেন, সাফায়েত অন্যত্র একটা বিয়ে করে সংসার করছে। এরই মধ্যে শান্তা তার ছেলেকেও যশোর ভাইদের বাসায় নিয়ে আসে। গত ৫ জানুয়ারি সাফায়েতকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য যশোরে ডেকে আনা হয়। সাফায়েত এসময় শান্তাকে কখনও বিয়ে করেনি বলে জানায়। একই সাথে শান্তাকে মারপিট করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছে।
