শেখ আব্দুস সালাম, কপিলমুনি ।। হারিয়ে যেতে বসেছে খেঁজুরের রস। অথচ বছর কয়েক আগেও খেজুরের রস ছিলো যশোরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ‘যশ’। সেই ‘যশ’ এখন আর নেই। ক্রমবর্ধমান হারে মানুষের ঘর-বাড়ি নির্মাণ কাজে ইটভাটা ও টালী কারখানায় কাঠ পুড়ানোর কারণে উধাও হয়ে গেছে খেঁজুর গাছ। যেকারণে শীতকালে ঘরে ঘরে পিঠা-পুলি ও পায়েস তৈরির ধুম পড়ে না। খেজুরের টাটকা রস ও গুড় পাওয়া এখন ভাগ্যের ব্যাপার। দুস্প্রাপ্যবলা যেতে পারে।
গত দুই দশক আগেও শীতকালে খেঁজুর গাছের রস সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করতেন গাছি। অনেকেই খেঁজুরের রস ও গুড়-পাটালী বিক্রি করে পরিবার পরিজনের ভরণ পোষণ যোগাতেন। বিপুল অংকের টাকাও রোজগার হতো এই খাত থেকে।
গেল বছর এক ভাড় রস বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা। তারপরও ভেজালের অভিযোগ রয়েছে। কপিলমনির গদাইপুর গ্রামের বাটুল সরদার নামে এক গাছি জানান, অভাব-অন্টন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে ঘরবাড়ি নির্মাণ কাজে লাগামহীন ভাবে খেঁজুর গাছ কর্তন করা হয়েছে। সেই সাথে সঠিকভাবে পরিচর্যা না থাকায় নতুন করে খেঁজুর গাছের বংশ বৃদ্ধি পায়নি।
বনবিভাগের একাধিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন-গত দেড়-দুই দশক ধরে খেজুর গাছ রোপণের নামে চলেছে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের মহড়া।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে অতিদ্রুতই খেজুর গাছ বিলুপ্তি হয়ে যাবে।