নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের বিশিষ্ট আয়কর আইনজীবী ও বাংলাদেশ ট্যাক্স ল-ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এম এ হাকিম আর নেই। সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না..রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি চার ছেলে এক মেয়ে নাতি নাতনিসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থা, যশোর ক্লাব ও যশোর রাইফেল ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। খেলোয়াড় জীবনে অ্যাথলেটিক্স হিসেবে সুনাম ছিল হাকিমের। এর পাশে লং টেনিস খেলতেন।
পুত্র মোকসিমুল হাকিম চঞ্চল জানান, তার পিতা গেল কয়েকদিন আগে ঢাকার বাসভবনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় যশোর সেনানিবাসে নিজ বাস ভবনে। সেনানিবাসের পাশে যশোর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাঠে তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, আইনজীবী জহুর আহমেদ, মোয়াজ্জেম হোসেন টুলু প্রমুখ। জানাজা শেষে তাকে কারবালা কবর স্থানে দাফন করা হয়।
আয়কর আইনজীবী এম এ হাকিমের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম। এক শোক বার্তায় নেতৃদ্বয় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তার শোকাহত স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে এম এ হাকিমের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব কবির, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজামান মিঠু, জেলা ফুটবল রেফারি সমিতির সভাপতি নিবাস হালদার, বাংলাদেশ আম্পায়ার অ্যান্ড স্কোরার অ্যাসোসিয়েশন যশোর জেলা সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ খান বিপ্লব।
