এম আর মাসুদ, ঝিকরগাছা
অধিক ফলনের পাওয়ার জন্য যখন সবাই রাসায়নিক সার ও নানা রকম টনিক ব্যবহার করেন, তখন এসব বাদে জৈব বালাইনাশক দিয়ে এ মৌসুমে বিষমুক্ত টমেটো চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন কৃষক দেলোয়ার হোসেন। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বোধখানা গ্রামের আজাম্মেল হকের ছেলে।
এবার একবিঘা জমিতে দেলোয়ার বাহুবলী জাতের শীতকালীন টমেটো আগাম চাষ করেন। এচাষে খরচ তুলে লাভের মুখ দেখেছেন টমেটো চাষী। খেত থেকে অন্তত দেড়লাখ টাকা লাভের আশা করছেন দেলোয়ার।
শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, দেলোয়ার হোসেনের খেতে প্রচুর পরিমাণ টমেটো ঝুলছে। প্রতিবারে ১২-১৫ মণ করে টমেটো উঠছে। এ টমেটো বিষমুক্ত হওয়ায় স্বাদ ভালো বাজারে এর চাহিদা ও বেশি দামে বিক্রি করা যায়।
কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এমৌসুমে মাঠে এক বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল বাহুবলী জাতের শীতকালীন টমেটো আগাম চাষ করি। গত আশ্বিন মাসে খেতে টমেটোর চারা লাগাই। এরপর মাচা তৈরিসহ চাষে মোট ৫০ হাজার টাকা মতো খরচ হয়েছে। ৯০ দিনের মাথায় পুরোদমে টমেটো উঠানো শুরু করি। এখন দুইদিন পরপর খেত থেকে টমেটো তোলা যায়। গত ২৮ দিনে ৬৪ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছি। প্রতিকেজি টমেটো পাইকারি বিক্রি হচ্ছে যে দামে তা মৌসুম শেষ পর্যন্ত থাকলে এ জমিতে অন্তত দেড় লাখ টাকা লাভ হবে।
দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, এটমেটো চাষে আমি কোনো রাসায়নিক সার ব্যবহার করিনি। জৈব বালাইনাশক ছিটাই বলে বাজারে এর চাহিদাও বেশি। আগামী ৩ মাস পর্যন্ত গাছ থেকে টমেটো তোলা যাবে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন বলেন, দেলোয়ার হোসেন শীতকালীন টমেটো আগেভাগেই চাষ করায়, ফলনও এসেছে আগে। সে নিরাপদ সবজি ও ফল উৎপাদন প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কৃষক। তিনি টমেটো চাষে রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন না। সে বাহুবলী জাতের শীতকালীন টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন।