নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিকরগাছায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে গত বুধবার ঝিকরগাছা বাজারে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্ত আ.লীগ নেতাকর্মীদের বিচার দাবি করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসক্লাব যশোরে শনিবার দুপুরে ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট আসনের এমপি ও মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ ও নেতৃবৃন্দ। এসময় লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম মুকুল বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর ঝিকরগাছা বাজারে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি মানববন্ধন করা হয়।
অথচ ১৯৮৬ সালে জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর দাড়িপাল্লা মার্কার প্রার্থী মাস্টার মকবুল হোসেনের চিফ এজেন্ট ছিলেন ঝিকরগাছা-চৌগাছা আসনের বর্তমান এমপি ডা. নাসির উদ্দীনের ভায়রা ভাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি নুরুল আমিন দুদু।
তিনি বোধখানা কেন্দ্রে দাড়িপাল্লা এজেন্ট করেন লিয়াকত আলীকে। এরপর ২০০১ সালে জামায়াতে ইসলামীর এমপি মুহাদ্দিস আবু সাঈদের পক্ষে এরা প্রকাশ্যে ভোট করেছেন যা উপজেলার মানুষ জানে। এমপি ডিও লেটার দিয়ে ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন বিতর্কিতদের সভাপতি বা সদস্য মনোনীত করেছেন। এতে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব বিষয় মৌখিকভাবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দীন এমপিকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি থানা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী, ইউপি কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুল কাদের, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিয়ার রহমান প্রমুখ।
ঝিকরগাছায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিতের ঘটনার প্রতিবাদে বীর মুক্তিযোদ্ধারা লাঞ্ছনাকারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিচারের দাবিতে গত ২৮ ডিসেম্বর ঝিকরগাছা বাজারে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, অনুষ্ঠানের আলোচনা শেষে বেরিয়ে আসার সময় বিএনপি থেকে আগত বিতর্কিত ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল ও তার সহযোগীরা মিলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করে। তারা ওই ঘটনায় মিডিয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন।
