নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদরের বুকভরা বাঁওড়ের খাসজমি দখল করে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে স্মারকলিপি ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর আগে যশোর কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গনে বাঁওড় তীরবর্তী চান্দুটিয়া ফরিদপুর মঠবাড়ী গ্রামের দুই শতাধিক গ্রামবাসী মানবন্ধন করেন। বিভিন্ন প্লেকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে বাঁওড় দখলকারী নুরুল ইসলাম খাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেছেন, বুকভরা বাঁওড়ের তীরবর্তী চান্দুটিয়া ফরিদপুর মঠবাড়ী গ্রামের প্রায় বিশ সহ¯্রাধিক মানুষের বসাবস। অধিকাংশ কৃষি নির্ভর। চান্দুটিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম খাঁ বুকভরা বাঁওড়ের খাস জমি অবৈধভাবে সর্বসাধারারণের অগোচরে নিজ নামে রেকর্ড করে নিয়েছেন। যার খতিয়ান নং ১৯০, ১৯১ ও ১৯২ । যার দাগ নম্বর ১৫০, ১৮৯, ১৫১ ও ২৭৭। গত বছর জমিতে অর্ধকাংশ বেড়িবাঁধ তৈরি করে কৃষকরে চরম ক্ষতি ও দুর্ভোগের মধ্যে ফেলেন তিনি। এ বছরের বাকী অংশে বাঁধ তৈরি করা অবস্থায় জনসাধারণের হস্তক্ষেপের কারণে পুরো বাঁধ অপসারণ হয়। চান্দুটিয়া মঠবাড়ি রাস্তার মধ্যে তিনটি ব্রিজ আছে কিন্তু দুইটি ব্রিজ বন্ধ হয়ে গেছে। ছোট ব্রিজ দিয়ে পানি বের হলেও তিনি বন্ধ করে দিবেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষক। এই কৃষি জমির উপার্জিত অর্থ দিয়েই তাদের সংসার চলে। প্রায় ৬শ থেকে ৭শ বিঘা বাঁওড়ের পূর্ব পাশে কৃষি জমির অবস্থান। এখানে শত শত বিঘা জমিতে পাট চাষ হয়। এখানে বেড়িবাঁধ দিলে পানির অভাবে পাট চাষের সংকট হবে। এমন অবস্থায় বুকভরা বাঁওড়ের খাস জমিতে বেড়িবাঁধ উঠিয়ে দিয়ে ফসলের ক্ষতি রক্ষার্থে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। অভিযোগের বিষয়ে নুরুল ইসলাম খাঁ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। আর জেলা প্রশাসক তজিমুল ইসলাম খান বলেন, ‘স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা প্রভাষক লিয়াকত বিশ্বাস, দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য শিপন মিয়াসহ এলাকাবাসী।