নিজস্ব প্রতিবেদক: জীবনের পড়ন্ত বেলায় মায়েদের মাঝে আর একটু আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল সময়ের আলো। আর তাই কিছু সময়ের জন্য মায়েদের সুখ-দুঃখের সাথী হতে শহর থেকে প্রায় ২০কিলোমিটার দুরে ছুটে গিয়েছিল সময়ের আলো পরিবারের সদস্যরা। তাদের কাছে পেয়ে মায়েরাও সাময়িক সময়ের জন্য ভুলে গিয়েছিল অতীতের দুঃখ বেদনা। সহজেই নিজেদের মাঝে বরণ করে নিয়েছিল আগতদের। হৈ চৈ, হাসি, আড্ডায় তারা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এই সমাজে এখনও তাদের বেঁচে থাকার অধিকারটুকু ফুরিয়ে যায়নি। যদিও এর অনেক আগে সমাজের অবহেলিত এসব মায়েদের জীবন অনেকটা আনন্দময় করে তুলেছেন জোসনা মুখার্জী নামের একজন মহীয়সী নারী। আর তার তত্ত্বাবধায়নে চলছে এ বৃদ্ধাশ্রমটি। আজ ছিল সময়ের আলোর তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই নেয়া মায়েদের সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে দৈনিক সময়ের আলো পরিবারের যশোরের সদস্যরা।
যশোর সদর উপজেলার সমসপুর বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিত ২০ মা মিলে দৈনিক সময়ের আলোর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন। এসব মায়েরা যশোর ও ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এই আশ্রমে আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগে অনেক মা তার জীবনের গল্প বলে শুনান। যার মধ্যে কিছু ছিল বেদনার আবার কিছু ছিল আনন্দভরা। মায়েদের পাওয়া না পাওয়ার গল্প শুনতে শুনতে কখন যে সময় গড়িয়ে গেছে টের পাওয়াই যায়নি। মায়েদের সাথে আরো উপস্থিত ছিল বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালক জোৎস্না মূখার্জী, তার ছেলে দীপ মূখার্জী, দৈনিক যশোরের স্টাফ রিপোর্টার জিএম অভি ও সময়ের আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক রেজাউল করিম রুবেল। প্রীতিভোজের মধ্য দিয়ে মায়েদের কাছ থেকে বিদায় নেয়া হয় আবার দেখা হবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে।