সবজিসহ ফসলের উপকার হবে : কৃষি বিভাগ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: শুক্রবার দিনভর প্রখর রৌদ্রের সাথে ছিল তপ্ত আবহাওয়া। ছিল ভ্যাপসা গরমও। সবমিলিয়ে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে জনজীবন। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার আগে যশোরের আকাশ মেঘলা হতে থাকে। ইফতারের আগমুহূর্তে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। বাতাসের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। এতে যেন স্বস্তি আর শান্তি নেমে আসে প্রাণিকূলে। তবে অল্প বৃষ্টিতেই শহরের হাট-বাজার ও পাড়া মহল্লার বেশকিছু রাস্তাঘাটে পানি জমে যায়। কেননা দীর্ঘ দিন বৃষ্টি না হওয়ায় ড্রেনগুলো আবর্জনা ভরে যায়। আর বৃষ্টিতেও ঈদের কেনাকাটাতে কিছুটা ছেদ ঘটে।
এদিকে সবজিসহ পাট ও ধান ক্ষেতেও এ বৃষ্টি বেশ উপকারে আসবে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
যশোর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার যশোরে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। বৃষ্টির পর সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তাপমাত্রা নেমে আসে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে-যোগ করে যশোর আবহাওয়া অফিস। সূত্র জানায়-শুধু যশোর না, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। তবে বাতাসের গতি একেক এলাকায় একেক রকম গতিবেগে ছিল।
যশোর শহরের বসন্ত কুমার রোডের আলমগীর হোসেন জানান, অল্প বৃষ্টিতেই সড়কে পানি জমে গেছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে দায়ী করে তিনি বলেন, ড্রেন দিয়ে পানি সরে না। ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি ড্রেন। কিছু লোহার স্লাব চুরি হয়ে গেছে।
বড়বাজার হাট চান্নির ব্যবসায়ী মধুসূদন পাল জানান, বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছিল। মৃদু বাতাসের সাথে আকাশে মেঘ জমতে দেখে মুহূর্তেই বাজার ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি বয়ে এনেছে কিন্তু হাটচান্নির অলিগলির সরু পথ জলমগ্ন হয়েছে।
কালেক্টর মার্কেটের ফ্যাশান গার্মেন্টেসের কর্মচারী বাবুল জানান, বিকেল থেকেই বেচাকেনা জমে উঠেছিল। কিন্তু আকাশে মেঘ জমতে দেখে অনেকে কেনাকাটা না করে বাড়ি ফিরে গেছেন।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক দীপঙ্কর দাশ দৈনিক কল্যাণকে জানান, বৃষ্টিপাত সামান্য হলেও বেগুন-পটলসহ সবজির উপকার হবে। পাট ও ধানে একটি সেচ খরচ বাচবে। এক কথায় কৃষক উপকৃত হবেন।