নিজস্ব প্রতিবেদক
বেগম খালেদা জিয়া মানে গণতন্ত্র, আর গণতন্ত্র মানে বেগম খালেদা জিয়া। তার মুক্তি আর গণতন্ত্রের মুক্তি একই সূত্রে গাঁথা। তাই গণতন্ত্রের নেত্রীকে বন্দি রেখে কোন ভাবে গণতন্ত্রের মুক্তি সম্ভব না। রোববার যশোর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এসব কথা বলেন। দলের চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
দলীয় প্রধানের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষার করে দলীয় নেতাকর্মীরা শহরের রাজপথ উত্তাল করেন। সমাবেশ শুরুর আগে দলীয় নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে যোগ দেন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মাতিয়ে তোলেন।
সমাবেশে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মত দেশের সব চেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে যদি কারান্তরীণ করে রাখা যায়, তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকেও কারান্তরীণ করে রাখা যায়। বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো পাতানো মামলার প্রহসনের বিচারে কারান্তরীণ করে রাখার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকার সেটিই প্রমাণ করেছে। সরকার বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। কারণ বেগম খালেদা জিয়া জনগণের প্রশ্নে কোন দিন আপোষ করেন নি। দীর্ঘ ৯ বছর আন্দোলন করে স্বৈরাচার এরশাদের পতন নিশ্চিত করেছিলেন। আর আজকের প্রধানমন্ত্রী এরশাদ শাহীর কাছে দুই দুই বার আপোষ করে জনগণের কাছে নিজেকে বেঈমান প্রমাণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর আগে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও। আজ দেশের সমগ্র জনগণ সেটি উপলদ্ধি করছে। আজ সমগ্র বিশ্ব বিবেক সেই কথার প্রতিধ্বনি তুলেছে। বিএনপির বলা লাগে না, দেশের জনগণ বলছে তাদের ভোটাধিকার, আইনের শাসন, মানবাধিকার ফেরত চায়। বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক ও বাংলাদেশের বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্রগুলো জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং মানবাধিকার সমুন্নত রাখার কথা বলছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুলের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য মারুফুল ইসলাম, আব্দুস সালাম আজাদ, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মণিরামপুর পৌর বিএনপির সভাপতি খায়রুল ইসলাম, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন, জেলা শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আবু জাফর, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রাশিদা রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ প্রমুখ।