নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় অবৈধ সমিতি গঠন করে বাঁওড় দখল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বেড়গোবিন্দপুর বাওড় তীরবর্তী সাধারণ মৎস্যজীবীরা। বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক জেলে ও তার পরিবারের সদস্যরা মাছ আহরণের জাল নিয়ে মানববন্ধন করেন। এতে বক্তারা বলেন, বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ে আমাদের তিন পুরুষ মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
হঠাৎ করে মনমথপুর- বেড়গোবিন্দপুর সমবায় সমিতি নামে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাশেম উপজেলা প্রশাসনের ম্যানেজ করে বাওড়টি দখল করে নিয়েছেন। চেয়ারম্যান শুধু বাঁওড় দখল নয়; জেলেদের ছাড়া রাণী মাছ বিষ প্রয়োগ করে মেরে দিচ্ছে। ফলে ২শ জেলে পরিবার বাঁওড়ে নামতে দিচ্ছে না। অবিলম্বে এই বাঁওড় যাতে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা ফিরে পার সেই দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাঁওড়ের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ কুমার, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, সাবেক সভাপতি তপন হালদার, মেঘনাথ সমবায় সমিতির সভাপতি মেঘনাথ হালদার, সাবেক সভাপতি আনন্দ হালদাল, সদস্য হরিপদ প্রমুখ।
বাঁওড়ের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই বাঁওড়টি পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু কোর্টের রায়কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বাঁওড়টি দখল করে নিয়েছেন। বর্তমান যিনি অবৈধ পন্থায় দখল করে রেখেছেন সেই সমিতির অধিকাংশই সদস্য প্রকৃত মৎস্যজীবী না। বাঁওড়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নির্ভরশীল ২১০টি মৎস্যজীবী পরিবারে জীবনজীবিকার হুমকির মুখে। সঠিক তদন্ত করে অবৈধ সমিতি বাতিল করার দাবি জানান তিনি। সাবেক সভাপতি তপন হালদাল বলেন, আমাদের এখন পানিতে নামতে দিচ্ছে না। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে হয়রানি করে। মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। পেটের দাবিতে আমরা রাজপথে নেমেছি। ২০০ পরিবারের পেটে লাথি মেরেছে। শুধু লাথি মেরেই ক্ষ্যান্ত হয়নি; বাঁওড়ের রানী মাছ বিষ প্রয়োগে মেরে দিয়েছেন। এই মাছ বিক্রি করে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনাসহ সংসার চালানো হতো। এখন বাঁওড় না পেলে বিষ খাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, বাঁওড় দখল না ; ইজারা নিয়েই দায়িত্ব নিয়েছি। কোন বিষ প্রয়োগ করা হয়নি। তারা বাঁওড় না পেয়ে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। আর এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইরুফা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০ একরের বেশি বাঁওড় ইজারা দেয় জেলা কমিটি। ইজারার বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।