# নির্দিষ্ট সময় শেষে কাজ হয়েছে মাত্র ৪-৬০ শতাংশ
# কাঠের সেতু দিয়ে চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা
ইসমাইল হোসেন, নাভারণ
নির্মাণকাল শেষ হলেও শার্শার নাভারণ হতে গোড়পাড়া সড়কের পৃথক দুটি স্থানে বেতনা নদীর উপর একই রকম দুটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৪-৬০ শতাংশ। নির্মাণ কাজে ধীর গতি হওয়ায় কাক্সিক্ষত ব্রিজ দুটি এখন এ অঞ্চলের মানুষের কাছে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্মাণাধীন দুটি ব্রিজের পাশেই সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য তৈরি উন্মুক্ত কাঠের সেতু দিয়ে চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। কাঠের সেতু দুটিতে ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন বেপরোয়া গতিতে চালাতে গিয়ে সেতু থেকে ছিটকে নিচে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
গত কয়েক দিনে উন্মুক্ত এই কাঠের সেতু পারাপারের সময় ভ্যান, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল নিচে পড়ে একই পরিবারের তিন জনসহ বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ শিশুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নাসরিন খাতুন (৩৫) নামে এক নারী আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত নাসরিন খাতুনের নিকট আত্মীয় বলিদাদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই ব্রিজের কাজ নিয়ে ব্যাপক টালবাহানা শুরু করেছে। ব্রিজ তৈরিতে তাদের কোন গতি নেই। বর্ষা মৌসুমে তাই এ ব্রিজ দিয়ে চলাচলকারীদের ভোগান্তি নিরসনে উন্মুক্ত কাঠের সেতুটি চলাচল উপযোগী করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক জামিরুল ইসলাম নির্মাণাধীন ব্রিজটির কাজ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন দাবি করে বলেন, কাঠের সেতু দিয়ে চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায়ই ছোট বড় যানবাহনগুলো যাত্রী নিয়ে নিচে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হচ্ছেন।
গাতিপাড়া গ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান সর্দার বলেন, ব্রিজ তৈরিতে যে পরিমাণ ধীরগতি দেখছি তাতে মনে হচ্ছে সময়ের পার হলেও কাজ শেষ হবে না।
ব্রিজ নির্মাণের সর্বশেষ তথ্য জানতে ঠিকাদার তৌফিকুলের ০১৯১৬-১৩৭৮০৫ নাম্বারে একাধিকবার রিং দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের শার্শার উপজেলা প্রকৌশলী এমএম মামুন হাসান জানান, প্রতিনিয়ত পড়ে গিয়ে মানুষের যে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সে বিষয়ে আমরা শুনেছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা হয়েছে পাশাপাশি কাঠের সেতুটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য কাজ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের পুরাতন ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ভেঙে ৬০ মিটার লম্বা ব্রিজ দুটি তৈরি করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ। যার নির্মাণ কাজ গত বছরের ৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে গত ৩ জুলাই শেষ হলেও কাজ হয়েছে মাত্র ৪০-৬০ শতাংশ।
