নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর বেনাপোলের যুবদলকর্মী পলাশ হোসেনকে অপহরণ ও গুমের ১০ বছর পর লক্ষণপুর এবং বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার বেনাপোলের ভবেরবেড় গ্রামের মৃত বাবলু ফারাজীর ছেলে নিহতের ভাই মুরাদ বাদী হয়ে এই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবা শারমিন অভিযোগের ঘটনায় থানায় আর কোন মামলা অথবা জিডি আছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দিয়েছেন বেনাপোল থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী আবু নাসের মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন।
অপর আাসমিরা হলো, শার্শার লক্ষনপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভুইয়া ও তার ছেলে পিন্টু, ভাই বেনাপোলের ছাত্রাপাড়ার বাসিন্দা কবির হোসেন, বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান ও তার ভাই আশানুর রহমান আশা, বেনাপোলের মৃত সামছেরের ছেলে মিজান এবং চৌগাছার দিঘলসিংহ গ্রামের ইদ্রিস মন্ডলের ছেলে বর্তমানে শার্শার দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের আলমগীরের বাড়ির ভাড়াটিয়া কামাল উদ্দীন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, পলাশ হোসেন বেনাপোলের যুবদলকর্মী ছিলেন। রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে আসামিরা প্রায়ই সময় পলাশকে খুন-জখমের হুমকি দিতো। ২০১৫ সালের ১০ জুন আসামি মিজান ফোন করে পলাশ হোসেনকে বাড়ির সামনে দেখা করতে বলে। রাত ৯ টার দিকে পলাশ ও তার স্ত্রীসহ স্বজনরা বাড়ির বাইরে এসে দেখে আসামি মিজান ও পিন্টু মোটরসাইকেল নিয়ে দাড়িয়ে আছে। পলাশ তাদের সাথে সালাম বিনিময়ের পর তারা তাকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে শিকারপুরের দিকে নিয়ে যায়। রাত ১০ টার দিকে স্বজনেরা পলাশকে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হয় চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভুইয়ার বাসায় নিয়ে গেছে তারা। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পলাশের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় স্বজনেরা চিন্তায় পড়ে যায়। এরপর পলাশ হোসেনকে খোঁজাখুজির পর উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে নিখোঁজ পলাশের স্ত্রী ১২ অক্টোবর বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি জিডি করেন। বিবাদী পক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় ওই সময় জিডির তদন্ত করেনি থানা পুলিশ। পলাশ হোসেনকে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে ওই সময় থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেনি। আসামিদের ভয়ে তখন আদালতেও মামলা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকুলে আসায় তিনি আদালতে এই মামলাটি করেছেন।
