নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের বেনাপোল বন্দরে অবস্থিত তনিমা পেট্রোল পাম্পের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। শার্শার বসতপুর গ্রামের জামাল হোসেন পাম্পটি পাঁচ বছর আগে ক্রয় করেছিলেন বলে দাবি করেন। মঙ্গলবার দুপুরে তার ভাই আনোয়ার হোসেন প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি করেন। অন্যদিকে তাদের বিরুদ্ধে পাম্পটি দখল করে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, তার ছোট ভাই ব্যবসায়ী জামাল হোসেনের সাথে শার্শা উপজেলার যাদবপুর গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার সুসম্পর্ক ছিল। তিনি বিভিন্ন সময়ে চার কোটি টাকার বেশি ধার নিয়েছিলেন। টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ২০১৭ সালের ৩০ মে এক কোটি ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে বেনাপোল বন্দরের তনিমা ফিলিং স্টেশনটি তার মায়ের নামে অফেরৎযোগ্য পাওয়ার অব এটর্নি করে দেন।
পরবর্তীতে তার মা ভাই জামাল হোসেনের নামে শার্শা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কবলা মুলে দলিল করে দেন। জামাল হোসেন সম্পত্তি নিজ নামে নামপত্তন করে ব্র্যাক ব্যাংক যশোর শাখা থেকে ঋণও উত্তোলন করেন। গোলাম কিবরিয়া পক্ষের সাথে লিখিত চুক্তি ছিল তনিমা পেট্রোল পাম্পটি ২০২০ সালে হস্তান্তর করে দেবে।
এরই মধ্যে গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যু হওয়ায় তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার, ছেলে ফাইজার কিবরিয়া, ফারদিন কিবরিয়া ও মেয়ে তনিমা তাসনুভা পাম্পটি নিজেদের দখলে রেখেছেন। তারা পাম্পটি দখলে রাখার জন্য ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর যশোরের যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। আদালত সেই মামলা খারিজ করে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন বৈধভাবে কেনা পেট্রোল পাম্পটি হস্তান্তর এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ার হোসেনের ব্যবসায়ীক পার্টনার শেখ আহম্মদ, আমিনুর রহমান প্রমুখ।
অভিযোগে বিষয়ে গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে তনিমা তাসনুভা মুঠোফোন বলেন, তার পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা আদায়ে তাকে জোর করে তুলে নিয়ে পাওয়ার অব এটর্নি করে নেওয়া হয়। পাম্প দখল নিতে গত ২৮ নভেম্বর তাদের উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানা পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওই জমি বন্ধকের নামে জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়। জালিয়াতিতে জড়িত ব্যাংকের চারজন চাকরিচূত্য হয়েছেন। আমাদের নামে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেবিষয়ে দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করবো।