নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের বেনাপোলে রেলওয়ের একটি টেন্ডারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে বেনাপোল রেলস্টেশন এলাকায় সংঘটিত এই সংঘর্ষে বাহাদুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় বাহাদুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ইব্রাহিম ডাক্তারকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন খোকন এবং পৌর যুবদলের সদস্য আব্দুল্লাহসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে রেল কর্তৃপক্ষ লেবার টেন্ডার আহ্বান করে। সেই কাজটি পান বাহাদুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন খোকন। তবে এই টেন্ডারকে কেন্দ্র করে বেনাপোল পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আতিকুজ্জামান সনির সঙ্গে খোকনের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। শনিবার বিকেলে কুতুব উদ্দিন খোকন তার লোকজনকে নিয়ে রেলস্টেশনে লেবারদের কমিটি গঠন করতে গেলে আতিকুজ্জামান সনির অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
কুতুব উদ্দিন খোকন অভিযোগ করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র জমা দিয়ে আমি রেলের টেন্ডার পেয়েছি। কিন্তু সেখানে আমি কোনো কাজ করতে পারছি না। আজ লেবারদের নিয়ে একটি কমিটি করার জন্য গেলে দুর্বৃত্তরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় আমাদের ইউনিয়ন বিএনপির একজন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রেলের এই টেন্ডার আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পর তারা আত্মগোপনে গেলে সেই সন্ত্রাসীরা পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আতিকুজ্জামান সনির নেতৃত্ব গ্রহণ করে। তারাই আজ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
তবে বেনাপোল পৌর বিএনপির সহসভাপতি আতিকুজ্জামান সনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, লোকমুখে মারামারির কথা শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাছাড়া আমি এই গ্রামেই বসবাস করি। যতটুকু শুনেছি, লেবারদের দুই পক্ষ মারামারি করেছে। এর থেকে বেশি কিছু আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, বিকেলে রেলস্টেশনে লেবারদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।