নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর শ্রমিক নেতার বাড়ি থেকে মাটির নিচে রাখা ১৮টি ককটেল বোমা উদ্ধার করেছে র্যাব। শনিবার বিকালে বন্দরের ২২ নম্বর পণ্যগারের সামনের একটি ঘর থেকে দুটি বালতিতে মজুদ রাখা অবস্থায় ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি র্যাব। র্যাব বলছে, ককটেল বোমাগুলো বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একত্রিত করা হয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানাগেছে, নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বন্দরের পাশের একটি বাড়িতে বিপুল পরিমান বিস্ফোরক দ্রব্য মজুদ করা হয়েছে। এমন সংবাদের র্যাব সদস্যরা বোমা নিস্ক্রিয়ের কাজে পারদর্শী সদস্যদের নিয়ে এসে বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় বাড়িতে মাটির নিচে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা ১৮টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়। এর আগে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়িওয়ালা শ্রমিক নেতা বাদল হোসেন (৪০) পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত বাদল হোসেন বেনাপোলে স্থলবন্দর ৮৯১ হ্যান্ডলিংক ইউনিয়নের নেতা।
যশোর র্যাব-৬ এর অধিনায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধারকৃত ককটেল বোমা বন্দর এলাকাতে যেকোন বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির জন্য একত্রিত করা হয়েছে। অভিযানে অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা বাদলসহ অজ্ঞাত দুই থেকে তিনজন পালিয়ে যায়। তিনি জানান, উদ্ধারকৃত আলামত বেনাপোল পোর্ট থানায় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পলাতকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
বন্দরের সংশ্লিষ্টরা জানান, বারবার বন্দরের নেতৃত্ব দখলের জন্য নামধারী শ্রমিক নেতারা একের পর এক নাশকতা পরিকল্পনা করছে। এতে বন্দরের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। রহস্যজনক কারণে ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতরা বারবার ধরা ছোয়ার বাইরে থাকছে। গত দুই মাসে আরো দুই বন্দর শ্রমিক নেতার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মজুদ রাখা ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে রাজনৈতিক কারণে বারবার ধামাচাপা পড়ছে এসব ঘটনা।