নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের বেনাপোলে রেশমা খাতুনকে হত্যায় অভিযুক্ত নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম মোড়লকে (৪০) আটক করেছে পিবিআই। গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর গ্রামের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আব্দুস সালাম মোড়ল শার্শা উপজেলার পাঁচভুলট গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। বর্তমানে তিনি ছোট আঁচড়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রশিদ মাস্টারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
পিবিআই সূত্র জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দ্বিতীয় স্ত্রী রেশমা খাতুনকে কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন আব্দুস সালাম মোড়ল। পরদিন রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রেশমা খাতুনের ভাই সাজু হোসেন ওই বাসায় এসে তার বোনের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। পরবর্তীতে পিবিআই হত্যার বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর পুলিশ সুপার রেশমা শারমিনের নেতৃত্বে এসআই হাবিবুর রহমান ও এসআই সৈয়দ রবিউল আলম পলাশ অভিযুক্ত আব্দুস সালাম মোড়লকে আটকের জন্য তৎপর হন। এক পর্যায়ে নানা তথ্যের ভিত্তিতে গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর গ্রামে আব্দুস সালাম মোড়লের প্রথম স্ত্রীর খালাতো বোনের ননদের বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় সেখানে আত্মগোপন করে থাকা আব্দুস সালাম মোড়লকে আটক করেন তারা। প্রথম স্ত্রীর খালাতো বোনের স্বামীর নাম সিরাজুল ইসলাম।
আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআই কর্মকর্তারা জানতে পারেন, আব্দুস সালাম মোড়লের দ্বিতীয় স্ত্রী রেশমা খাতুন। প্রায় ১২ বছর পূর্বে আব্দুস সালাম মোড়ল তাকে বিয়ে করেন। ৩/৪ বছর ধরে রেশমা খাতুনের সাথে আব্দুস সালাম মোড়লের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ বিবাদ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আব্দুস সালাম মোড়ল ঘরে থাকা কুড়াল এনে মাথায় আঘাত করলে রেশমা খাতুন নিহত হন। পরে আব্দুস সালাম মোড়ল সেখান থেকে পালিয়ে যান।
তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই হাবিবুর রহমান জানান, হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই সাজু হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেছেন। সোমবার ওই মামলার আসামি আব্দুস সালাম মোড়লকে যশোরের আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বর্ণালী রানী তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।