জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনধি
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় বাওড়ে মাছ চুরি করাকে কেন্দ্র করে অগ্নিসংযোগ, মারপিট ও ১০ লাখ টাকা লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মহেশপুর উপজেলার স্বরুপপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার খেদের আলীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর বাওড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ প্রসঙ্গে বেনীপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হারুন অর-রশিদ হারুন বলেন, বাওড় থেকে প্রায় দিনই মাছ চুরির ঘটনা ঘটে। আমরা অনেক সময় হাতেনাতে অনেককে আটক করলেও তাদেরকে সতর্ক করে ছেড়ে দিই। একইভাবে মঙ্গলবার সকালের দিকে বাওড়ের দক্ষিণ পাশে স্বরুপপুর গ্রামের মেম্বার খেদের আলীর ছেলে হৃদয় চুরি করে মাছ ধরার সময় তাকে আটক করা হয়। আমরা তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য সিদ্ধান্তও গ্রহণ করি। কিন্তু মেম্বার খেদের আলী দুপুর দু’টার দিকে তার ছেলে রাব্বীর নেতৃত্বে তাদের গ্রামের আতি, আরিফ, পারভেজ, খায়রুল, চাঁন্দু, খোকন, মফুসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জন হাতে লাঠিসোটা, দা-হাসুয়া দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাওড়ের গার্ড হেলাল উদ্দিন ও রিপনের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে ও মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তারা বাওড়ে গার্ডদের থাকার জন্য ৪ টি কুঁড়ে ঘরে আগুন দিয়ে ভস্মিভুত করে। অন্যদিকে সমিতির অফিস ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে মালামাল তছনছ করে এবং মাছ বিক্রির নগদ সাড়ে ১০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এখন তারা হুমকি দিচ্ছে আমাদেরকে বাওড়ে মাছ চাষ করতে দিবে না।
সীমান্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্যা বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাই। জখম গার্ডদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনার ব্যাপারে সমিতির সভাপতি হারুন অর-রশিদ থানায় একটি মামলার জন্য লিখিত দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবু সাইদ বলেন, ঘটনার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।