সুনীল ঘোষ: অনাবৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমন চাষে লাভেরমুখ দেখতে পাননি কৃষক। তবে লোকসানও গুনতে হয়নি। ধানের চড়া দাম পুষিয়ে দিয়েছে ক্ষতি। যে কারণে খুশি মনে বোরো চাষে মেতে উঠেছেন জেলার অর্ধলক্ষাধিক কৃষক।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকাসহ প্রয়োজনীয় সার পেয়ে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন এসব চাষি। এরমধ্যে চাহিদার সব ইউরিয়া সার এসে গেছে বাফার গুদামে। গুদামে তিল ধারণের জায়গা না থাকায় খোলা আকাশের নিচেই সারের মজুদ দেখা গেছে। ভরা মৌসুমে কৃষক যাতে সার সংকটে না পড়েন, তার জন্য সরকারের এই আগাম প্রস্তুতি দাবি সংশ্লিষ্ট বিভাগের।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম জানান, চলতি বোরো মৌসুমে জেলার ৮ উপজেলায় ১ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও উফশী ধানের চাষ হচ্ছে। ক্ষেতে চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে সারের। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ১৬ হাজার ৬২৮ মণ। প্রকৃতি বিরাগভাজন না হলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে-প্রত্যাশা করেন কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।
যশোর বাফার গোডাউনের ইনচার্জ আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ২২ হাজার ৪৮৯ মেট্রিকটন ইউরিয়া সার এসে গেছে। বোরোর ভরা মৌসুমে যাতে সংকট না হয়, তার জন্য ইউরিয়া সার মজুদ করা হয়েছে।
যশোর সদরের খোলাডাঙা গ্রামের কৃষক নিয়ামত আলী জানান, বোরো চাষে এখন পর্যন্ত কোনো সংকটে পড়তে হয়নি। বীজতলা তৈরি ও ক্ষেত পরিচর্যা শেষে চারা রোপনের ভরা মৌসুম চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করছি আমনের লোকসান বোরো চাষে পুষিয়ে যাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, যশোরের ২৪ হাজার কৃষককে হাইব্রিড জাতের দুই কেজি করে বোরো ধানের বীজ দেয়া হয়েছে। ৫ কেজি করে উফশী জাতের ধান বীজ পেয়েছেন জেলার ৩৬ হাজার কৃষক। বীজের সাথে পটাশ ও ডিএপি সারও পেয়েছেন চাষিরা। চাহিদার সারও এসে গেছে। আশা করছি বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলেন কৃষিবিভাগের এই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।