নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের অভয়নগরের ব্যবসায়ী ইনাম গাজীকে হত্যাচেষ্টার হুকুমদাতা আসাদুজ্জামান জনি বহাল তবিয়তেই রয়েছেন। শুধু তাই নয়; মামলা প্রত্যাহারসহ বাদীকে জীবননাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল থেকে পদ স্থগিত থাকা এই বিতর্কিত জনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেলেও যৌথবাহিনী তাকে আটক করতে পারেনি। এতে হত্যাচেষ্টা মামলার বাদীসহ নওয়াপাড়ার অনেকের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ বিকেলে নওয়াপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এলাকার রেজাউলের মুদিখানা দোকানের সামনে জনির নির্দেশে ব্যবসায়ী ইনাম গাজীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় ৯ মার্চ ইনাম গাজী অভয়নগর থানায় মামলা করেন।
তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার সাথে আসামি সাইফুল, রিপন, কবির, পাপ্পু, মনোয়ার হোসেন মানু, রুহুল আমিন, তপু, তরিক, লিখন, সম্রাট, ইউসুফ, কামরুল, রুবেল, সুমন সরদার, ফাহিম সরদার ও আসাদের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে অভয়নগরের নানা অপকর্মের হোতা আসাদুজ্জামান জনির হুকুমে গত ৫ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নওয়াপাড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রেজাউলের মুদিখানা দোকানের সামনে পৌঁছানো মাত্র তাকে (ইনাম গাজী) পথরোধ করে। দুর্বৃত্তদের হাতে থাকা ধারালো চাপাতি, চাইজি কুঁড়াল, হাতুড়ি, লোহার রড ও লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা করা হয়। আসামি রিপন বাদী ইনাম গাজীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে সাইফুল ইসলাম চাইনিজ কুড়াল দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে তার ডান পায়ের গোড়ালির উপরে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় ইনাম গাজীর পকেটে থাকা ৬০ হাজার টাকা আসামি কবির নিয়ে নেয় এবং আরেক আসামি রিপন তার পালসার মোটরসাইকেলটি নিয়ে নেয়। এ সময় ইনাম গাজীর চিৎকারে খোকন তরফদার ও অপু হোসেন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে। স্থানীয় লোকজন ইনাম গাজীকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে ইনাম গাজী সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় ৯ মার্চ বাদীর ভাই মিজানুর রহমানের মাধ্যমে অভয়নগর থানায় এজাহার দাখিল করেন। পুলিশ ওই মামলাটি রেকর্ড করে। কিন্তু পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে।
এদিকে, হত্যাচেষ্টা ঘটনার হুকুমদাতা বহু অপকর্মের হোতা আসাদুজ্জামান জনির বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ। ফলে প্রকাশ্যে থেকে এজাহারভুক্ত আসামি এবং তাদের স্বজনদের বিভিন্ন মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য শাসিয়ে চলেছেন। ফলে ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে যেমন সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। তেমনি জীবনাশঙ্কায় রয়েছে বাদীর পরিবার।
জানতে চাইলে অভয়নগর থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন খান বলেছেন, মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় আসাদুজ্জামান জনির বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সর্বশেষ
- স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধ করার কী ফল পেল নিউজিল্যান্ড
- আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত
- বেনাপোলে সীমান্তে ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশে দিল জনতা
- অবকাঠামো নির্মাণে জমি বরাদ্দ ও দ্রুত সেবা কার্যক্রম চালুর দাবি
- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও গণঅধিকারকে নিষিদ্ধ করতে হবে: শামীম পাটোয়ারী
- মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগপত্র দাখিল হলেই নির্বাচন, চাকরিতে অযোগ্য
- অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এখন লেবু বিক্রেতা
- কোটচাঁদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ড্রাগন চাষির মৃত্যু, আহত এক