নিজস্ব প্রতিবেদক :
অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করে আলোকিত মানুষ হওয়ায় প্রত্যাশায় দেবী বীণাপাণির কৃপা প্রার্থনা করেন শিক্ষার্থীরা। বাণী অর্চনা, পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণসহ নানা আয়োজনে গতকাল যশোরে সরস্বতী পূজা করেন তারা। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (যবিপ্রবি), যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ, যশোর সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, ডা. আবদুর রাজ্জাক কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হিন্দু ধর্ম্বাবলম্বীদের পরিবারে সরস্বতী পূজা উদযাপন হয়েছে।
যবিপ্রবিতে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে প্রতিমা স্থাপনের মাধ্যমে বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরস্বতী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সকাল ১০টায় সরস্বতী পূজা উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘দেবী সরস্বতী হলেন জ্ঞানের দেবী, সুরের দেবী। যবিপ্রবি হলো একটি ধর্মনিরপক্ষে ও অসাম্প্রদায়িক বিশ^বিদ্যালয়। আমরা চাই, এখানে সকল ধর্মের মানুষ পারস্পারিক সোহার্দ্য সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করবে। কারণ এ বাংলা অববাহিকা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে ও আবর্তন করে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সৃষ্টি হয়েছে।
যবিপ্রবি পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, কেমিকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুজন চৌধুরী, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তরুন সেন, নার্সিং অ্যান্ড হেল্থ সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক অঞ্জন কুমার রায়, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক স্বরাজ মল্লিক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক দেবাশীষ রায়, মেডিকেল অফিসার ডা. রুদ্র প্রসাদ বিশ্বাস, সেকশন অফিসার রামানন্দ পাল, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর উজ্জ্বল চন্দ্র সূত্রধর প্রমুখ।
সরস্বতীর পূজা উপলক্ষে বিশ^বিদ্যালয়ের ডা. এম আর খান মেডিকেরের সেন্টারের সম্মুখে প্যান্ডেল করে পূজা অর্চনার ব্যবস্থা করা হয়। সকাল ছয়টার দিকে প্যান্ডেল স্থলে সরস্বতীর প্রতিমা আনা হয়। সকাল সাতটার দিকে প্রতিমা স্থাপন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় থেকে শুরু হয় পুষ্পাঞ্জলি ও হোমযজ্ঞ। পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। বিকেলে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। করোনা অতিমারীর পর সকল মত-পথের লোকজনের সমাগমে পূজা প্রাঙ্গণ পরিণত হয় সম্প্রীতির মিলনমেলায়।