প্রিয়ব্রত ধর, নওয়াপাড়া (যশোর)
পাখি শিকার শ্বাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও তার কোন প্রয়োগ নেই যশোরের অভয়নগরের ভবদহ অঞ্চলে। ভবদহ অঞ্চল পানি বন্দি অঞ্চল হওয়ায়, শীতেও এ বিলে প্রচুর পানি থাকে। বিলে পানি থাকার কারণে শীতের শুরুতে আসতে শুরু করে নানা প্রকার অতিথি পাখি। শীত মৌসুমে নাম জানা অজানা নানান জাতের পাখি আশ্রয় নেয় এ অঞ্চলের জলাশয়ে।
এসময় এলাকার কিছু অসাধু পাখি শিকারি জাল, ফাঁদ, বিষ ও টোপ ব্যাবহার করে এসকল পাখি শিকারে পরিণত করছে। ফলে জলাশয় থেকে পাখির’র সংখ্যা ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। পাখিরা পাচ্ছে না কোন নিরাপদ বিচরণ স্থান। এ অবস্থাতে এলাকার সচেতন মহল দাবি যত দ্রুত সম্ভাব প্রশাসনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এ সকল অতিথি পাখি শিকারিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সরেজমিনে ভবদহের মশিয়াহাটি, গবিন্দপুর, ধোয়াপাড়া, কুচলিয়া, নেবুগাতী, রাজাপুর বিল ঘুরে দেখা যায় পানকৌড়ি, কাদোখোচা, ডোঙ্কর, হাঁসপাখি, কচো, ছোট হাসপাখি, কাইন, ডাউক, কোড়াসহ নাম না জানা শত শত পাখির অবস্থান।
অভিযোগ, সন্ধ্যা নামলেই কিছু অসাধু লোক পাখির ডাক সাইন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে বাজিয়ে পাখি ডেকে এনে শিকার করছে। স্থানীয় বাজারসহ আশপাশের বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অতিথি পাখি।
স্থানীয় পাখি, মাছরাঙ্গা, শালিক, বক ইত্যাদি। অভয়নগর সড়াডাঙ্গা গ্রামে গাছে হাজার হাজার বাদুর ঝুলে থাকতে দেখা যায়। যা আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে।
সুন্দলী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় হাজারও পাখি। সন্ধ্যা হলে কানে ভেসে আসে হাজারও পাখির কিচির মিচির শব্দ। গাছের ডালে বাসা বেধেছে আপন মনে। গাছ থেকে আকাশে উড়লে তৈরি হয় এক অপরুপ সাজ।
এ বিষয়ে অভয়নগরের নির্বাহী অফিসার কে এম আবু নওশাদ জানান, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই। তবে বিষয় গুলো শুনেছি। আইন আছে কোন অবস্থাতে কোন প্রকার কোন পাখি নিধন করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।