কল্যাণ ডেস্ক
সরকার গণতান্ত্রিক পরিসরকে সংকুচিত করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে বিরোধী দলকে নির্মূল করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসেনর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আলোচ্য বিষয় তুলে ধরে এ কথা বলেন তিনি। গত ৪ এপ্রিল দুপুরে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, সভায় বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দল ঘোষিত কর্মসূচি পালনের সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় বিনা অজুহাতে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ কর্তৃক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এ ধরনের হামলা ও গ্রেপ্তার থেকে প্রমাণ হয়, গণতান্ত্রিক পরিসরকে সংকুচিত করে হত্যা, গুম, খুন ইত্যাদি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করে বিরোধী দলকে নির্মূল করতে চায়।
সভায় সম্প্রতি নওগাঁয় র্যাব কর্তৃক সরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তা সুলতানা জেসমিনকে বেআইনিভাবে তুলে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার তীব্র নিন্দা জানায় এবং অবিলম্বে দায়ী র্যাব কর্মকর্তা, সরকারের যুগ্ম সচিব আজিজুল হকের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। সভায় এ বিষয়ে জনমত গড়ে তোলার জন্য যথাযথ কর্মসূচি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ অন্যান্য সাংবাদিক এবং নাগরিকদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অবিলম্বে এই নিবর্তনমূলক কালো আইন, ডিজিটাল সিকিউটিরি আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়।
ঢাকার বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ব্যবসায়ীদের ক্ষয়-ক্ষতির জন্য দূঃখ প্রকাশ করা হয়। সভায় বঙ্গবাজার সহ অন্যান্য স্থানে সংঘটিত অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং অবিলম্বে বঙ্গ বাজারসহ সকল বাজারে অগ্নি নির্বাপন ও সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানায়।
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।