খুলনা জিআরপি থানায় ১৩ জনের নামে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী জুম্মান হত্যার ঘটনায় খুলনা জিআরপি থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই মামুন সরদার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছেন। এই মামলায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিব এবং ইমন নামে দুই আসামিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়নি। ভাইপো রাকিব চাঁচড়া রায়পাড়ার কাজী তৌহিদের ছেলে এবং ইমন রায়পাড়া তেতুলতলার খালিদ হোসেনের ছেলে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-রায়পাড়ার রিপনের ছেলে প্রিন্স, কামরুজ্জামান কালা বাবুর ছেলে রনি, বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার রবিউল ইসলাম রবির ছেলে শুভ, বেজপাড়া বিহারী কলোনীর ইমান আলীর ছেলে সবুজ, শংকরপুর আশ্রম রোড শাহনাজ হোটেলের পিছনের তরিকুল ইসলামের ছেলে রুবেল ওরফে কপালকাটা রুবেল, খড়কি কলাবাগান এলাকার রবি ওরফে ছোট রবি, পুলেরহাট-কৃষ্ণবাটির মোহাম্মদ আলী, চাঁচড়া রায়পাড়া ইসমাইল কলোনীর আব্দুল আলিম ওরফে ঢ্যাপ পকেটমারের ছেলে সাগর, রায়পাড়া তুলোতলার জাফরের ছেলে সজিব, কিছলু কাজীর ছেলে শাহিন ও শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার বিপ্লব।
বাদী মামুন সরদার জানিয়েছেন, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং অস্ত্রসহ মাদকের কারবার করে বেড়ায়। বাদীর ভাই জুম্মান সরদার তাদের ওই ধরণের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড করতে নিষেধ করে। এতে তারা জুম্মানের উপর ক্ষীপ্ত হয়। এক পর্যায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জুম্মানকে ওই সন্ত্রাসীরা যশোর রেলস্টেশনের দক্ষিণপাশে পুকুরপাড়ে ডেকে নেয়। এরপরে তারা জুম্মানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় খুলনা জিআরপি থানায় মামলা করা হয়েছে।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিব ও ইমনকে র্যাব আটক করেছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। কিন্তু র্যাবের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডে চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার ইসরাইল ড্রাইভারের ছেলে সজল এবং একই এলাকার চয়ন ছিল। তাদের নাম এজাহারে আসেনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিআরপি যশোর ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই শাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আসামিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
