বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি: মাতৃত্বকালীন ভাতার দাবিতে গতকাল শতাধিক নারী বাঘারপাড়া মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তারা ভাতার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
২০১৮ সালে বাঘারপাড়া পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে প্রায় ২৫০ জন নারীর মাতৃত্বকালিন ভাতার জন্য কার্ড করা হয়। দেড়শ নারী ওই কার্ডের আওতায় নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন। অথচ ৮১ জন নারী এখনও পর্যন্ত কোন ভাতা পাননি। ২০২০ ও ২০২১ সালে যে তালিকা হয়েছে, সে তালিকার নারীরাও নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন।
শাকিলা খাতুন জানিয়েছেন, সব কিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরেও তিনি ভাতা পাচ্ছেন না। বহুবার অফিসে যোগাযোগ করেও কোন লাভ হয়নি।
পিয়ারি খাতুন, রুপালি খাতুন, রেশমা পারভীন জানিয়েছেন, অফিসে গেলেই বলেন তাদের কাজ সব শেষ হয়ে গেছে। এখন ব্যাংকে খোঁজ নিতে হবে। এ ভাবে মাসের পর মাস পার হয়ে গেছে। ব্যাংকের লোক বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে।
সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শম্পা রানী বলেন, আমিও অনেক নারীকে নিয়ে অফিস ও ব্যাংকে বারবার গিয়েছি। কোন ফল পাচ্ছিনে ।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন এবং সুষ্ঠু সবল পরবর্তী প্রজন্ম গঠনের লক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর রাজস্ব-খাতের অর্থায়নে শহর অঞ্চলে ‘কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন করছে। কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র কর্মজীবী গর্ভবতী ও দুগ্ধদায়ী মা’দেরকে সরকার নির্ধারিত মাসিক ৮০০ টাকা হারে ভাতা দিচ্ছে। উপকারভোগী একাধারে তিন বছর এ ভাতা পাবেন। একই সাথে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণও পাবেন।
বাঘারপাড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনী জানিয়েছেন, আন্দোলনরত নারীরা ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত। আমি যতদূর জানি ২০১৮ সালে তাদের তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী তাদের অন লাইনে ডাটা এন্ট্রি হয়েছে। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের যৌথ স্বাক্ষরে তালিকা অনুমোদনও হয়েছে। সর্বশেষ ব্যাংক একাউন্টও হয়েছে। আর আমি বাঘারপাড়ায় যোগদান করেছি ২০২১ সালের মাঝামাঝি। ভুক্তভোগি অনেক নারী আমার কাছে এসেছেন। তাদের আমি কোন সঠিক উত্তর বা পরামর্শ দিতে পারিনি। তবে যা জানতে পেরেছি তা হচ্ছে অনেকেই ভুয়া এনআইডি ও জন্ম নিবন্ধন দিয়ে কার্ড করেছেন। এখন সবই অনলাইনে। যে কারণে কোন না কোন ভুল তথ্যের জন্য তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা হয়নি।