কল্যাণ ডেস্ক: বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে টিকে থাকার লড়াইয়ে বুধবার ভারতের বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াইয়ে মাঠে নামবে টাইগাররা। দুই দলের জন্যই ম্যাচটি গুরুতত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পথে এগিয়ে যেতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
তবে পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের চেয়ে শক্তির বিচারে অনেক এগিয়ে ভারত। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে ১১টি। বাংলাদেশ মাত্র ১টি জয়েই থেমে আছে। বাকি দশটিতেই জিতেছে ভারত। তাইতো সাকিব মঙ্গলবার প্রিভিউ-তে অ্যাডিলেড ওভালের প্রেস কনফারেন্স রুমে বসে বললেন, ‘পরবর্তী টার্গেট দুটো ম্যাচ খুবই ভালোভাবে খেলা। যদি কোনো ম্যাচ জিততে পারি সেটা আপসেট হিসেবেই গণ্য হবে। এবং সে আপসেট টা যদি করতে পারি তাহলে আমরা খুশি হব। আর না করতে পারলেও খুব বেশি কিছু একটা বলার নেই।’
সাকিব বলেন, ‘বাকি দুই দল যদি দেখেন তারা আমাদের থেকে অবশ্যই ভাল। বাট আমরা যদি ভালো খেলি আমাদের যদি দিন থাকে, কেন জিততে পারবো না। এই বিশ্বকাপে আমরা দেখেছি আয়ারল্যান্ড ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানকে জিম্বাবুয়ে হারিয়ে দিয়েছে। ওরকম একটা রেজাল্ট হলে আমরা অবশ্যই খুশি হব।’
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে চাপে আছে ভারতও। এ অবস্থায় তাদেরও জয় চাই। বিরাট কোহলিরা একটা জয়ের জন্য কতোটা মরিয়া সেটা আঁচ করতে পারছেন সাকিব। বাঙলাদেশ অধিনায়ক বলছিলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ভারতীয় দল খুবই ভালো একটা বোলিং অ্যাটাক। আপনি যদি দেখেন প্রতিটা ম্যাচই তারা ১৬০-৭০ মধ্যেই প্রতিটা দলকে বেঁধে রেখেছে। তার মানে খুবই ভালো বোলিং করছে। আমাদের অবশ্যই খুবই ভালো ব্যাটিং করতে হবে, ১৬০ বা ১৭০ রান করতে গেলে। যেটা দেখা যাচ্ছে এই বিশ্বকাপে একটা পার স্কোরের মত। যারা বেশি করছে তারাও এরকম করছে, যারা কম করছে তারাও এর থেকে ১০-১৫ রান কম করছে। এরকম একটা অবস্থায় আমার কাছে মনে হয় আমাদের খুবই ভালো খেলতে হলে ভারতের বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে ভালো করতে হবে। কেননা তাদের বিশ্বমানের খেলোয়াড় রয়েছে। আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে আসলে।’
এর আগে দুই দলই তিনটি করে ম্যাচ খেলেছে। তবে নিউজিল্যান্ড এখনও একটি ম্যাচেও হার দেখেনি। দুটি জিতেছে, একটি হয়েছে পরিত্যক্ত। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ স্থানে রয়েছে কিউইরা।
অন্যদিকে ইংল্যান্ড একটি হার, একটি ড্র এবং একটি জয় পেয়েছে। আজকের ম্যাচে জয় পেলে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকবে ইংল্যান্ড। হারলে কঠিন হয়ে যাবে সমীকরণ।
ইংল্যান্ড একাদশ: জস বাটলার (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), অ্যালেক্স হেলস, ডেভিড মালান, বেন স্টোকস, হ্যারি ব্রুক, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলি, স্যাম কুরান, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, মার্ক উড।
নিউজিল্যান্ডে একাদশ: ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে (উইকেটরক্ষক), কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), গ্লেন ফিলিপস, জেমস নিশাম, ড্যারেল মিচেল, মিচেল স্যান্টনার, ইশ সোধি, টিম সাউদি, লুকি ফার্গুসন ও ট্রেন্ট বোল্ট