নিজস্ব প্রতিবেদক: আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ভারতের কনটেইনার ট্রেন বাংলাদেশে খালাস করে খালি ফিরে যায়। ওই খালি ট্রেনের ভাড়াও ব্যবসায়ীদের মেটাতে হয়। তাই ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে খালি ফিরে যাওয়া ট্রেনে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এ কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হবে, সে বিষয় নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। সভায় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আবদুল হাকিম, যুগ্ম কমিশনার আবদুর রিশদ মিয়া, সাফায়েত হোসেন প্রমুখ।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার আবদুর রশিদ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রেনে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে এনবিআর। পণ্য ওঠানো-নামানো ও শুল্কায়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, চার ধরনের ট্রেনে ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি হয়। এর মধ্যে আছে এনএমজি র্যাক, বিসিএন ওয়াগান, কনটেইনার ও পার্সেল ট্রেন। জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২৮৮টি ট্রেনে ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বাংলাদেশে এসেছে। এর মধ্যে শুধু কনটেইনার ট্রেন ভারতে খালি ফিরে যাওয়ার সময় ভাড়া নেওয়া হয়।
স্টেশন মাস্টার আরও বলেন, ভারত থেকে আসা কনটেইনার ট্রেনে ২০ ফুট লম্বা ৬০টি অথবা ৪০ ফুট লম্বা ৩০টি করে কনটেইনার থাকে। ন্যূনতম ৫০ কিলোমিটার রেলপথ অতিক্রমের জন্য ৪০ ফুটের কনটেইনারে পণ্যসহ ভাড়া ১২ হাজার ৪৮০ টাকা ও খালি কনটেইনারের ভাড়া ৯ হাজার ১৫০ টাকা। আমদানি পণ্যের জন্য ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও রপ্তানি পণ্যের জন্য এখনো কোনো ভাড়া নির্ধারণ করেনি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির মো. শামছুর রহমান বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছিলাম ফিরতি ট্রেনে পণ্য রপ্তানির জন্য। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সেই দাবি বাস্তবায়ন করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইতিমধ্যে গতকাল আমাদের সাথে কাস্টম কর্তৃপক্ষ সভা করেছেন। সেখানে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ফলে এ পথে আমদানি-রপ্তানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের রাজস্বও বাড়বে।
এব্যাপারে যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো হবে। কেননা ট্রেনে পণ্য আমদানি-রফতানি হলে ব্যবসায়ীদের ঝামেলা পোহাতে হবে। পণ্য দ্রুত পৌছাবে। সেই সঙ্গে সরকারও রাজস্ব বেশি পাবে বলে আশা করছি।