মণিরামপুর প্রতিনিধি :
মণিরামপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রতন কুমার পাল স্বপরিবারে স্থায়ীভাবে ভারতে বসবাস করলেও তার নামের বিসিআইসি সদর ডিলারের (লাইসেন্স) বিপরীতে বরাদ্দকৃত সারসহ কৃষি পণ্য উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার দাস এসব মালামাল উত্তোলন করে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জনৈক আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তি বিষয়টি লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, মেসার্স রতন পাল ডিলারশিপের (লাইন্সেস) মাধ্যমে শুধুমাত্র গত জানুয়ারি মাসের বরাদ্দকৃত ৯৫ মেট্রিকটন ইউরিয়া সারসহ অন্যান্য সার উত্তোলন করা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষরও দেখানো হয়েছে সত্ত্বাধিকারী রতন পালের। যা সম্পূর্ণ বেআইনী বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দাবি করেছে। অথচ রতন কুমার পাল তার সকল সম্পদ বিক্রি করে গত বছরের ৮ নভেম্বর থেকে ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন।
সূত্র মতে, সার ডিলার নিয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা/২০০৯ এর ধারা ৮ মোতাবেক উক্ত লাইসেন্সে মালামাল উত্তোলন করা আইন বহির্ভুত।
এ মালামাল উত্তোলনকারীদের প্রধান অভিযুক্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার দাসকে বাঘারপাড়া উপজেলায় বদলি করা হলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে তিনি (সঞ্জয়) যোগদান করেছেন। সূত্র মতে, গেল বছরের ডিসেম্বর মাসেও বরাদ্দ সকল মালামাল জালজালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করে বিক্রি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার দাস বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তার ম্যানেজার হাবিবুর রহমান হাবিব রতন কুমার পালের স্বাক্ষর দেখিয়ে মালামাল উত্তোলন করেছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহীন ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত আড়াই মাস আগে আমি এ উপজেলাতে যোগদান করেছি। যে কারণে বিষয়টি আমার জানার বাইরে হয়ে গেছে। লিখিত অভিযোগটি পাওয়ার পর এ বিষয়য়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থায়ীভাবে দেশ ত্যাগকারী কোন ব্যক্তি নামে লাইন্সেস থাকার বিধান নেই।