কল্যাণ ডেস্ক
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর সোয়া ৪টার দিকে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক নিহতের তথ্য জানিয়েছেন সিরিয়া ও তুরস্কের কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। আর গভীরতা ছিল ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার।
এতে সিরিয়া ও তুরস্কের বিভিন্ন শহরে শত শত ভবন ধসে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে জানা গেছে। তাদের উদ্ধারে দুই দেশেই অভিযান চলছে।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকটে বলেন, তুরস্কে দ্রুত বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। এরইমধ্যে ২৮৪ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
আর সিরিয়ায় ২৩০ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
সিরিয়ার সহকারী স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহমেদ ধমিরিয়েহ দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। এটি আরও বাড়তে পারে। আহতের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজারে পৌঁছেছে।
সিরিয়ার যে স্থানে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে সেটি সরকার ও বিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা।
বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় বিরোধীদের সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স পরিস্থিতিটিকে ‘বিপর্যয়কর’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা জানিয়েছে, সেখানে ভবনগুলো ধসে পড়েছে এবং তার নিচে অসংখ্য মানুষ আটকা পড়ে আছে।
আলেপ্পো প্রদেশে বিপুলসংখ্যক ভবন ধসে পড়েছে বলেও সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাসহ অন্যান্য শহর এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলজুড়ে সিরিয়ার গাজিয়ানতেপ শহরের ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) বলছে, দেশটির দক্ষিণ-পূর্বে ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকায় হতাহতের সংখ্যা বেশি।
দিয়ারবাকিরে থাকা সংবাদমাধ্যম বিবিসির তুরস্ক প্রতিনিধি জানান, শহরটির একটি শপিং মল ধসে পড়েছে। গাজা উপত্যকায় থাকা বিবিসির প্রযোজক রুশদি আবুয়ালুফ বলেন, তিনি যে বাড়িতে থাকেন সেখানে প্রায় ৪৫ সেকেন্ড ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
তবে ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭.৪ ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভূতত্ত্বিকরা। তারা জানান, ভূমিকম্পটি আঘাত হানার কয়েক মিনিট পরই দ্বিতীয় দফায় আরেকটি কম্পন অনুভূত হয়।
সূত্র : বিবিসি