নিজস্ব প্রতিবেদক
ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে যশোরের পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও তারা মা-বাবাসহ তিনজনের নামে আদালতে মামলা করেছেন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা। মঙ্গলবার বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে কোতোয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম যশোর পুলিশ সুপারের দেহরক্ষীর দায়িত্ব পালন করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও কুলসুম খাতুন দম্পত্তির ছেলে। তাকে ও তার পিতামাতাকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন যশোর শহরতলীর নুরপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বিয়ের কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়। বিয়ের সময় আয়েশা সিদ্দিকার বাবা জামাতা জাহাঙ্গীর আলমকে নগদ এক লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দেন। বিয়ের পরে সংসার করাকালে আয়েশা সিদ্দিকা দুই মাসের গর্ভ ধারণ করেন। এতে অসস্তুষ্ট হয়ে ওই সন্তান নষ্ট করার জন্য আয়েশাকে ওষুধ কিনে দেন জাহাঙ্গীর। সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় ওষুধ না খেয়েও তার স্বামীর কাছে বলেছেন খেয়েছি। তবে ২০২২ সালের ২ আগস্ট সুচতুর জাহাঙ্গীর জুসের সাথে গোপনে ওষুধ মিশিয়ে আয়েশাকে খাওয়ায়। এতে অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণে আয়েশা সিদ্দিকা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। চলতি বছরের ১ এপ্রিল মেসেঞ্জারে আয়েশাকে তালাক প্রদানের হুমকি দেন জাহাঙ্গীর। মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আয়েশা আদালতে মামলাটি করেছেন।
