শাহারুল ইসলাম ফারদিন
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আটদিন কর্মবিরতির পর কাজে ফিরেছেন যশোর শহরের বড় বাজারের দর্জিরা। গতকাল শনিবার থেকে কারিগররা পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন। সকাল থেকে শহরের বড় বাজারের দর্জির দোকানগুলোতে আবার কর্মব্যস্ততায় ফিরেছেন তারা। টেইলার্স মালিকদের অভিযোগ ঈদের ভরা মৌসুমে দর্জি শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। আসছে ঈদে শহরের সাধারণ মানুষ নতুন জামা কাপড় থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় বাধ্য হয়ে মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে ছিট কাপড় ব্যবসায়ী ও টেইলার্স মালিকদের। তাতে প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানান মালিকরা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন টেইলার্সের সঙ্গে ছিট কাপড়, সুই, সুতা, বোতামসহ পার্সের দোকানগুলো।
তবে দর্জি শ্রমিকরা জানান, টেইলার্সে সেলোয়ার কামিজ প্রকারভেদে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা মজুরি নিয়ে শ্রমিকদের দেয়া হয় ৯৫ থেকে ১৫০ টাকা। স্কুল ফ্রকের জন্য ৪০০ টাকা নিয়ে দেয়া হয় ১২০ টাকা। বোরকা প্রকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৭৫০ টাকা নিলেও শ্রমিকরা পান ৯৫ থেকে ১৪০ টাকা। লেহেঙ্গার মজুরি ৭০০ থেকে ১৩৫০ টাকা হলেও শ্রমিকদের দেওয়া হয় মাত্র ১৬০ টাকা। ফ্রক ৪৫০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হলেও শ্রমিকদের দেয়া হয় ৮০ থেকে ১২০ টাকা। ম্যাক্সির মজুরি ২৮০ টাকা হলেও শ্রমিকরা পায় ৬০ টাকা। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নামায় আংশিক বৃদ্ধি করা হয়েছে।
যশোর বড়বাজার দর্জি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, ধর্মঘটের ডাক দেয়ায় শুক্রবার রাতে পোশাক তৈরি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে তাদের আলোচনা শেষে মূল্য বৃদ্ধির আশ্বাস দেয়া হয়। সাধারণ সম্পাদক আহাদুর রহমান বলেন, আমরা ব্যক্তি স্বার্থে নয়; শ্রমিকদের স্বার্থেই আন্দোলন করেছি।
পোশাক তৈরি মালিক সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান খোকন জানান, গত শুক্রবার কারিগরদের দাবি মেনে নেয়ায় তারা কাজ শুরু করেছেন।
শহরের শিমুল টেইলার্সের মালিক রহমত আলী বিশ্বাস বলেন, শ্রমিকদের ধর্মঘটে তাদের কারখানা পহেলা রমজান থেকে বন্ধ ছিলো। শত শত মানুষ কাপড় তৈরি জন্য এসে ফেরত গেছে।