কুয়াদা প্রতিনিধি
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কুয়াদা এলাকার জয়পুর গ্রামে তাণ্ডবের ঘটনায় অভিযুক্ত জামায়াত ও বিএনপির সক্রিয় সদস্য পার্শ্ববর্তী গ্রামের ব্রাহ্মণডাঙ্গার (মাঝপাড়া) মুসাক ওরফে কামো (৪৭) ও একই গ্রামের আলামিন হোসেন (২৯) এবং মাজহারুল মোল্যা (৪৬) এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি। অথচ পার হয়ে গেছে ঘটনার ১১ বছর। অভিযুক্তরা এলাকায় দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৩ সালের ২২ মার্চ রাতে মণিরামপুর থানা পুলিশ উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে আসামি গ্রেফতারে গেলে জামায়াত-বিএনপির লোকজন আসামি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় পুলিশ ও জামায়াত-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে আনিচুর রহমান নামে এক যুবক নিহত ও অনেকে আহত হন। পরে পুলিশ চলে গেলে জামায়াত-বিএনপির লোকজন সংঘবদ্ধভাবে জয়পুর, চান্দুয়া, শ্রীপুর, ঢাকুরিয়া ও ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের নিরীহ আওয়ামী লীগ কর্মীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়িঘরে লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। এমনকি তাদের বাড়ির হাঁস-মুরগী,গরু-ছাগল, ধান-চাল, কাপড়সহ সবকিছু পুড়িয়ে দেয়। ঘটনার ১১ বছর পার হতে চলেছে কিন্তু ওই সময় তা-বকারী জামায়াত-বিএনপির সক্রিয় সদস্যরা এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।