নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের মণিরামপুর বাজারের কুলটিয়া রোডের মসজিদ মার্কেটের আল আমিন বস্ত্রালয় এন্ড গার্মেন্টস ভাংচুর ও ৪৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিকালে মসজিদ কমিটির সাবেক নেতা লুৎফর, বাজার কমিটির সভাপতি তুলসি ঘোষের নেতৃত্বে দোকানে হামলায় ও লুটপাট হয়। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ওই পরিবার। সোমবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আল আমিন বস্ত্রালয় এন্ড গার্মেন্টেসের মালিক মালিক জাকির হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমাতুন নাহার, ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বৃদ্ধা মা আবেদা বেগম, ভাই জুলফিকার আলী, ভাতিজা আবু তালহা প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, ‘মণিরামপুর বাজারের কুলটিয়া রোডে মসজিদ মার্কেটের তিনটি দোকান ভাড়া নিয়ে আল আমিন বস্ত্রালয় এন্ড গার্মেন্টসের দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। মসজিদ কমিটি পরিবর্তন হলেও আগের নিয়মে ভাড়া আদায়কারীর কাছ থেকে রশিদ গ্রহণ করে প্রতি মাসের ভাড়া পরিশোধ করে আসছিলেন তিনি। বিগত কমিটিতে লুৎফর রহমান মসজিদ কমিটির নেতা নির্বাচিত হয়ে আমাকে দোকান থেকে উচ্ছেদ করবে বলে লুৎফর রহমান হুমকি দিয়ে আসছিলেন। চলতি বছর থেকে লুৎফরের প্ররোচণায় ভাড়া নেয়া বন্ধ করে দেয় আদায়কারী। এর মধ্যে লুৎফর দোকানের পুনঃবন্দবস্তো করে দিবেন বলে দেড় লাখ টাকা চেয়েছিলেন। তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। লুৎফর টাকা নিয়ে দোকানের বন্দোবস্ত করে না দিয়ে তিনি উল্টো ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দেয়ায় লুৎফর ও তার লোকজন দোকান থেকে উচ্ছেদ করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি গার্মেন্টস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি জানানো হয়। নেতৃবন্দ দোকান উচ্ছেদ না করার জন্য মসজিদ কমিটিকে অনুরোধ করে একটি চিঠি দেন। এতে লুৎফর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাজার কমিটির সভাপতি তলিসি ঘোষ, মিজানুর রহমান, ফারুক হোসেন, উত্তম কুমার, ভজন, নুরোম হাসেম আলী, খবির হোসেনসহ ২০/২৫ জন দোকানে হামলা করে। হামলাকারীরা দোকানের ক্যাশ বক্স থেকে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা চুরি ও দোকানে থাকা ৪৫ লাখ টাকার গার্মেন্টস সমগ্রী লুটপাট এবং আমার বৃদ্ধ মাসহ আমাদের মারপিট করে তাড়িয়ে দিয়ে দোকানে তালা লাগিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, দোকানের মালামাল ও দখল ফিরে পেতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গের কাছে গিয়েও কোন ফল হয়নি। অবশেষে এ ঘটনায় থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ না করায় আদালতে মামলা করি। দোকান ভাংচুর লুটপাটকারীরা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা করে চরম বিপাকে আছি। আসামিরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। যে কোন সময় তারা বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। বর্তমানে আমি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। তিনি তার দোকান ফেরত ও লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
১ Comment
Pingback: বেশি দাম নেয়ায় কাঠেরপুলে দুই মাংস দোকানিকে জরিমানা - দৈনিক কল্যাণ