নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের মণিরামপুরের চাকলা গ্রামের গৃহবধূ হীরা বেগম হত্যা মামলায় ইউপি সদস্য সাবেক স্বামী ইসলাম গাজীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু বকর। অভিযুক্ত ইসলাম গাজী চাকলা গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ১২ বছর আগে চকলা গ্রামের সুমনের সাথে হীরা বেগমকে বিয়ে হয়। হীরার স্বামী ভাংড়ি ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে তিনি অধিকাংশ সময় নড়াইল থাকতেন। গত ইউপি নির্বাচনের সময় ইসলাম গাজী মেম্বর পদে নির্বাচন করেন। এ সময় তিনি সুমনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। একই সাথে নির্বাচনের আলাপ-আলোচনার জন্য মাঝে মধ্যে তার বাড়িতে আসতেন ইসলাম গাজী। এ সুবাদের ইসলাম গাজীর সাথে সুমনের স্ত্রীর পরোকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হীরা বেগম প্রেমের টানে সুমনকে তালাক দিয়ে ইসলাম গাজীকে বিয়ে করেন। ইসলাম গাজীর সাথে কয়েক মাস সংসার করা পর হীরা বেগম তাকে তালাক দিয়ে দেন। আবার বিয়ে করেন সুমনকে। সুমন স্ত্রী সন্তান নিয়ে নড়াইলে সংসার শুরু করেন।
২০২২ সালের ৫ অক্টোবর হীরা বেগম তার ছেলেকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিন ইসলাম গাজী কৌশলে হীরা বেগমকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান। এ দিন খোঁজাখুজি করে হীরা বেগমকে খোঁজাখুজি করে উদ্ধারে ব্যর্থ হন স্বজনেরা। পরদিন সকালে মণিরামপুরের ভদ্রবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যনের ফোন পেয়ে যশোর হাসপতাল মর্গে এসে হীরার লাশ সনাক্ত করেন স্বজনেরা।
এ ঘটনায় হীরা বেগমের পিতা আক্তার মোল্যা বাদী হয়ে ইসলাম গাজীসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে মণিরামপুর থানায় একিট হত্যা মামলা করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৭ অক্টোবর ইসলাম গাজীকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। ইসলাম গাজী হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ইসলাম গাজীকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।